(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Edible Oil Rates: ১০ শতাংশ বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম, আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা, স্বস্তি মিলবে কবে?
Edible Oil Rates:ভারত সূর্যমুখী তেলের বড় আমদানিকারী দেশ। সূর্যমুখী তেলের আমদানির জন্য ইউরোপ ও আর্জেন্টিনার ওপর নির্ভর করা যায় না, কারণ, ওই দেশগুলেই এর চাহিদা বেশি রয়েছে।
Palm Oil Price Increased: ভারত যে দুই দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে সূর্যমুখী তেল আমদানি করে, সেই দুটি দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধেছে। ফলে ওই দুই দেশ থেকে সূর্যমুখী তেলের আমদানি ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে তেল উৎপাদকরা। রুশ ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সূর্যমুখী তেলের আমদানি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, যুদ্ধ যদি শেষও হয়ে যায়, তাহলেও অবিলম্বে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ, যুদ্ধের প্রভাব দুই দেশের সূর্যমুখী চাষের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই চলবে। কাজেই উৎপাদন কম হওয়ায় সূর্যমুখী তেল আমদানি নিয়ে ভবিষ্যতেও সংকট বহাল থাকবে।
ভারত প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য তেলের আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি পাম তেল। সূর্যমুখী তেলের যোগান বাজারে কমলে পাম তেলের চাহিদার অংশ আরও বাড়বে। ভারত ২৫ লক্ষ টনেরও বেশি সূর্যমুখী তেল আমদানি করে থাকে। সূর্যমুখী তেলের আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটায় পাল তেলের দামে বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
জিয়োজিত ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেসের অ্যানালিস্ট বিনোদ টি পি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলতি যুদ্ধ সূর্যমুখী তেলের আমদানির ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করেছে। এরফলে বিশ্ব বাজারে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভারত সূর্যমুখী তেলের বড় আমদানিকারী দেশ। সূর্যমুখী তেলের আমদানির জন্য ইউরোপ ও আর্জেন্টিনার ওপর নির্ভর করা যায় না, কারণ, ওই দেশগুলেই এর চাহিদা বেশি রয়েছে। তিনি বলেছেন, আর্জেন্টিনায় সূর্যমুখী তেলের দাম বেশি। এর পাশাপাশি, উৎপাদনে স্বল্পতা, পরিবহণ খরচ বেশি হওয়ার কারণে ওই দেশ থেকে তেল কেনার সম্ভাবনা কম। ভারতে সংস্কৃতি বৈচিত্রময়। সেখানে খাদ্যাভ্যাসও ভিন্ন। ফলে এখানে ক্রেতারা সেই ভোজ্য তেলই কিনবেন, যার দাম কম। সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর নির্ভরতা এখন আরও বাড়বে। তিনি বলেছেন, সরষের ফলন ভালো হওয়ায় দামে ততটা বেশি বৃদ্ধি দেখা যাবে না। দেশে সরষে ফসল তোলার কাজ এখন চলছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ওই সরষে থেকে তৈরি তেল বাজারে আসবে. ফলে ভোজ্য় তেলে যে মূল্য়বৃদ্ধি ঘটেছ, তাতে লাগাম পরবে।
সূর্যমুখী তেলের স্বল্পতা ও পাম তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সয়াবিন তেলে পড়েছে এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই তেলের দাম এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ব্রোকারেজ ফার্ম কোটাক সিকিউরিটিজের বক্তব্য অনুসারে, আমেরিকার দেশগুলিতে সোয়াবিনের উৎপাদন কম হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেলের ঘরোয়া সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে এর দাম আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গোদরেজ ইন্টারন্যাশনালের নির্দেশক সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে, বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সারা বছরই দামে বৃদ্ধি দেখা যাবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক ঝিমুনির প্রভা পাম তেল সহ পণ্যের দামে পড়বে। তবে চাহিদার স্বল্পতার কারণে বছরের মাঝামাঝি সময় দাম কিছুটা কমতে পারে।