Credit Card Dues: ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া বাকিতে ৩০ শতাংশের বেশি সুদ, সায় সুপ্রিম কোর্টের, কেন সচেতন হবেন জানুন
Supreme Court: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের ধার শোধ করতে না পারলে, কত সুদ নেওয়া উচিত, এই মামলা ১৬ বছর আগের।
নয়াদিল্লি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের ধার না শোধ করলে ৩০ শতাংশের বেশি হারে সুদ আদায় করতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। সুপ্রিম কোর্টের এই সাম্প্রতিক রায় নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে একদিকে ব্যাঙ্কের অর্থনৈতিক স্বাধীনতারক্ষা যেমন সম্ভব হল, তেমনই গ্রাহকদের আর্থিক সাক্ষরতার রাস্তাও প্রশস্ত হল। ক্রেডিট কার্ড নিলেই হল না, কী ভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা উচিত, সে সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে গ্রাহকদের। (Credit Card Dues)
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের ধার শোধ করতে না পারলে, কত সুদ নেওয়া উচিত, এই মামলা ১৬ বছর আগের। ২০০৮ সালে জাতীয় গ্রাহক বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (NCDRC) জানিয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধার শোধ না করতে পারলে ৩০ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করা অনুচিত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে তাদের সেই সিদ্ধান্ত উল্টে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ১৯৪৯ সালের আইন অনুযায়ী, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে সুদের হার নির্ধারণের স্বাধীনতা রয়েছে ব্যাঙ্কগুলির। (Supreme Court)
আদালত জানিয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার সময়ই গ্রাহকদের সুদের হার, জরিমানা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। দু'পক্ষের সম্মতিতেই চুক্তি হয়। তাই এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের নীতি অন্যায্য বলার উপায় নেই। এই সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের এক্তিয়ারও NCDRC-র নেই বলে জানায় আদালত। আদালতের এই রায়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও, আদালতের এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
স্বচ্ছতায় জোর
আদালতের এই রায়ে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত লেনদেনে আরও স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার সময় সমস্ত শর্তাবলী পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করতে বাধ্য হবে ব্যাঙ্কগুলি। দেরিতে কিস্তি জমা দেওয়া বা ধার শোধের ক্ষেত্রে কত টাকা জরিমানা হতে পারে, সেব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকবে গ্রাহকদের।
আর্থিক সাক্ষরতা
দেরিতে বকেয়া মেটানোর অভ্যাস যাঁদের, তাঁদের সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। কারণ বকেয়া মেটাতে বা কিস্তি জমা দিতে যত দেরি করবেন তাঁরা, তত চড়া সুদ চাপানোর অধিকার পাবে ব্যাঙ্কগুলি। বিপদ এড়াতে গ্রাহকরা সময়ে টাকা মিটিয়ে দেবেন, বুঝেশুনে খরচ করবেন বলে আশাবাদী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সার্বভৌমত্ব
ব্যাঙ্ক কী হারে সুদ চাপাবে, তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা একমাত্র রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতেই রইল। ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি লঙ্ঘন করেছে বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি এক্ষেত্রে। ফলে শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্তৃত্ব অটুট রইল। ব্যাঙ্ক চড়া সুদ চাপাতে চাইবে। কিন্তু গ্রাহক যদি সচেতন হন, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন যদি, তাঁরা সেই ফাঁদ এড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বার্ষিক ১০.৫ লক্ষ টাকা রোজগারে আয়কর ছাড়? বাজেট অধিবেশনে মধ্যবিত্তকে রেহাই দেওয়ার ভাবনা