Bengaluru Ring Road Case: জুনিয়রের সঙ্গে প্রেমে আপত্তি পরিবারের, হবু স্বামীকে সরিয়ে দেন আইনজীবী তরুণী, সোনম রঘুবংশীকে ছাপিয়ে যাবেন শুভা শঙ্করনারায়ণ
Sonam Raghuwanshi News: ২০০৩ সালে বেঙ্গালুরুর রিং রোড থেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসে।

নয়াদিল্লি: হাতের মেহেন্দি ফিকে হওয়ার আগেই স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার ছক। মধুচন্দ্রিমায় ভাড়াটে খুনি নিয়ে গিয়ে সেই উদ্দেশ্য চরিতার্থ। সোনম রঘুবংশীকে নিয়ে পর পর যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। তবে এই প্রথম নয়, দু’দশক আগেও এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে এই দেশে। (Bengaluru Ring Road Case)
২০০৩ সালে বেঙ্গালুরুর রিং রোড থেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসে। ২১ বছর বয়সি শুভা শঙ্করনারায়ণের সঙ্গে বাগদান হয় ২৭ বছরের বি.ভি গিরীশের। শুভা আইন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। গিরীশ ছিলেন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সাদাসিধে, শান্ত স্বভাবের গিরীশের সঙ্গে ধূমধাম করেই বাগদান হয় শুভার। পরের বছর বিয়ে হবে বলে ঠিক ছিল। (Sonam Raghuwanshi News)
শুভা অবস্থাপন্ন ঘরের মেয়ে। তাঁর বাবাও দুঁদে আইনজীবী। অন্য দিকে, সফ্টওয়্যার সংস্থায় যে চাকরি করতেন গিরীশ, সেই সময়ই তাঁর বেতন ছিল মাসে ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু ৩০ নভেম্বর বাগদান হওয়ার পর, মাত্র তিন দিনের মাথায় বেঘোরে প্রাণ হারান গিরীশ। শুভা তাঁকে হত্যার ছক কষে রেখেছিলেন বলে পরে জানা যায়।
জানা যায়, বাগদানের পর গিরীশের কাছে রেস্তরাঁয় ডিনারে যাওয়ার আবদার করেন শুভা। নৈশভোজ সেরে ফেরার সময় HAL বিমানবন্দর থেকে বিমানের উড়ান দেখার বায়না করেন তিনি। কিন্তু সেখানে পৌঁছলে একদল লোক তাঁদের উপর চড়াও হয়। গিরীশকে বেধড়ক মারধর করে তারা। সাহায্যের জন্য চিৎকার-চেঁচামেচিও করেন শুভা। কিন্তু গোটাটাই নাটক ছিল বলে জানা যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গিরীশকে। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছিল। কিন্তু পর দিনই মারা যান গিরীশ। গিরীশের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তদন্তে নেমে তেমন কোনও প্রমাণই হাতে পায়নি পুলিশ। কিছু না পেয়ে গিরীশ এবং শুভার বাগদানের ভিডিও খুঁটিয়ে দেখা শুরু হয়।
সেই ভিডিও-য় শুভাকে কোথাও হাসতে দেখা যায়নি। এমনকি আচার-অনুষ্ঠানে তেমন মন ছিল না বলেও সন্দেহ জাগে পুলিশের। এর পর শুভার বয়ান মিলিয়ে দেখা শুরু হলে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে। আর একটি বিষয় নজর কাড়ে পুলিশের। দেখা যায়, গিরীশের মৃত্যুর একদিন পর কলেজের জুনিয়র অরুণ বর্মাকে ৭৩ বার ফোন করেন শুভা, বহু মেসেজও করেন। আর এতেই শুভার উপর সন্দেহ জন্মায় পুলিশের।
অরুণের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু হলে, প্রথমে ঘটনার দিন শহরের বাইরে ছিলেন বলে জানান তিনি। কিন্তু পুলিশ তাঁর ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে দেখে, গিরীশের উপর হামলা হয় যেখানে, ঘটনার দিন সেখানেই ছিলেন অরুণ। এই মামলাই আর একটি দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে ফোনের লোকেশন এবং কল রেকর্ডস ডিজিটাল নথি হিসেবে পেশ করার সূচনা হয় যখন, এই মামলা তার মধ্যে অন্যতম।
এর পর শুভা এবং অরুণকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত অপরাধ কবুল করে নেন তাঁরা। জানান, অরুণকে ভালবাসতেন শুভা। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে বাবার সায় ছিল না। তাই ভাড়াটে খুনি এনে গিরীশকে খুন করান তাঁরা। শুভা এবং অরুণকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। প্রমাণ লোপাটের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হন শুভা। ২০১৪ সালে আদালতে যদিও জামিন পান শুভা।























