Uttar Pradesh News: উত্তরপ্রদেশে কিশোরের উপর যৌন নির্যাতন, মারধরের পর জিভ দিয়ে পরিষ্কার করানো হল থুতু, গ্রেফতার ২ যুবক
Uttar Pradesh Boy Assaulted: উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

অমেঠী: উত্তরপ্রদেশে এবার যৌন নির্যাতনের শিকার এক কিশোর। যৌন নির্যাতনের পর বেধড়ক মারধরও করা হল তাঁকে। এমনকি কিশোরকে দিয়ে নিজেদের থুতুও জিভ দিয়ে পরিষ্কার করানোর অভিযোগ দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (Uttar Pradesh News)
উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। ১৫ বছরের এক কিশোরের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে সেখানে। নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর ২৩ বছর বয়সি নিতিন এবং ২৪ বছর বয়সি রোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। (Uttar Pradesh Boy Assaulted)
নির্যাতিত কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, ১৮ জুলাই সন্ধেয় তাঁর ছেলের উপর চড়াও হয় নিতিন ও রোহিত। মোটর সাইকেলে চাপিয়ে কার্যত তুলে নিয়ে যায়। বরসন্ডা গ্রামে কিশোরকে নামায় তারা। সেখানে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। এর পর, সিংহমাউ গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয়। ওই কিশোরকে জিভ দিয়ে নিজেদের থুতুও পরিষ্কারে বাধ্য করে অভিযুক্তরা।
যে বাগানে ওই কিশোরের উপর অত্যাচার চালানো হয়, তার মালিক শের বাহাদুর সিংহ নামের একব্যক্তি। পরিবারের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের সময় তোয়ালে দিয়ে কিশোরের মুখ চেপে ধরে অভিযুক্তরা। অত্যাচারের পর কিশোরের ফোনও ভেঙে দেওয়া হয়। নির্যাতিত কিশোরের বাবাই ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছে ওই কিশোর।
বাসার শুকুল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিনেশ কুমার জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এই মুহূর্তে। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠছে। অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণিত হলে, কড়া শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি স্থানীয়দের।
দু'দিন আগেই উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসে। সেখানে চার বছরের এক কন্যাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ করে তার স্কুলের গাড়ির চালক। ইন্দিরানগর থানায় সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়। জানা যায়, গত ১৪ জুলাই এই ঘটনা ঘটে। মেয়েটির মা জানিয়েছেন, যৌনাঙ্গে যন্ত্রণার কথা জানায় মেয়ে। তিনি আঘাত দেখতে পান। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে, যৌনাঙ্গে কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হয়নি। তাই দু’দিন পর মেয়েটির পরিবার থানায় যায়। ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ বলতে কারও অসম্মতিতে যৌনাঙ্গে হাত বা পায়ের আঙুল প্রবেশ করানোকে বোঝানো হয়, যা ইংরেজিতে Digit হিসেবে গণ্য হয়।






















