(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
S24 Parganas: মিনাখাঁ থেকে উদ্ধার ২৫টি বিদেশি পাখি, পাচার-যোগের অভিযোগে ধৃত ১
Bird Smuggling: মিনাখাঁ থেকে উদ্ধার ২৫টি বিদেশি পাখি। পুলিশের দাবি, পাচারের উদ্দেশ্যেই আনা হয়েছিল পাখিগুলিকে। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার এক। পাখি-পাচারের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
সমীরণ পাল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মিনাখাঁ (Minakha) থেকে উদ্ধার ২৫টি বিদেশি পাখি (foreign birds) । পুলিশের দাবি, পাচারের (smuggle) উদ্দেশ্যেই আনা হয়েছিল পাখিগুলিকে। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) এক। পাখি-পাচারের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
কী হয়েছিল?
কলকাতার বাসন্তী হাইওয়ের মিনাখাঁ থানার মালঞ্চ দক্ষিণ ঘেরির কাছে রবিবার গভীর রাতে নাকা চেকিংয়ের সময় একটি মারুতি সুজুকি গাড়ি থেকে বেশ কিছু বিদেশি পাখি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িচালক রফিকুল গাজিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, সেখান থেকেই জানা যায় বাংলাদেশের কোনও এক এজেন্টের কাছ থেকে পাখিগুলি সংগ্রহ করে মিনাখাঁর চৈতলের বাসিন্দা রফিকুল কলকাতার দিকে আসছিলেন। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছে তিন ধরনের পাখি ছিল। এগুলির মধ্যে ১২টি বিদেশি অ্যামাজন টিয়া, এগারোটি 'লাভ বার্ডস', দুটি 'টারকিউজিন' পাখি-সহ মোট ২৫টি বিদেশি পাখি উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, উদ্ধার হওয়া পাখিগুলির বর্তমান বাজার মূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। সেগুলিকে মিনাখাঁর বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই পাখি-পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত আছে, তারও তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
পাচারের ঘটনা আগেও ...
গত এপ্রিলেই বর্ধমান স্টেশনে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল এমন আরও একটি পাচারচক্র। প্রায় ২০০ টিয়াপাখি শাবককে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। তবে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে, টিয়াপাখি শাবকগুলিকে উদ্ধার করা গিয়েছিল শেষ পর্যন্ত।ওই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। সে বার শোনা যায়, বর্ধমান স্টেশনের চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা ভাবে, খাঁচায় বন্দি করে পাচার করা হচ্ছিল টিয়াপাখি শাবকগুলিকে। সেগুলিকে উদ্ধার করে বর্ধমান বনবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় শেষমেশ। শাবকগুলির বিশেষ যত্ন নিচ্ছে বনবিভাগ। সেই সময় পুলিশের জালে ধরা পড়েন এক যুবক। ধৃতের নাম কাশেম খান। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরেরই দুবরাজদিঘির কেন্দুলিপাড়া এলাকায়। রেল পুলিশ জানিয়েছে, ডাউন শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস থেকে টিয়াপাখি নিয়ে প্লাটফর্মে নামার পরই ধৃতকে হাতেনাতে ধরা হয়। বিহারের ভাগলপুর এলাকা থেকে টিয়াপাখিগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এত সংখ্যক টিয়াপাখি শাবক উদ্ধার হওয়ায় বনবিভাগের তরফে স্পেশাল কেয়ার নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ডাক্তার দেখানোর পর বেশ কিছুদিন শাবকগুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।পরিস্থিতি বুঝে তবেই তাদের গভীর জঙ্গলে ছাড়ার কথা ভাবা হবে।
আরও পড়ুন:ইউনেস্কো-র সম্মানে মিছিল ১ সেপ্টেম্বর, পুজো নিয়ে একঝাঁক ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর