Midnapore Medical College: স্যালাইন দেওয়ার পর মৃত্যু প্রসূতির! রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য ভবনের
West Bengal News: ত্রুটিযুক্ত স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
সৌমেন চক্রবর্তী ও ঝিলম করঞ্জাই, মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। পরিবারের দাবি, স্যালাইন দেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবারের আরও দাবি, গতকাল স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ প্রসূতি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। CMOH জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্য ভবন। মেদিনীপুর মেডিক্যালে যাচ্ছে ড্রাগ কন্ট্রোলের টিম।
এক প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ত্রুটিযুক্ত স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ওই হাসপাতালে স্যালাইন নেওয়ার পর থেকে আরও চারজন প্রসূতি অসুস্থ বলে অভিযোগ। গতকাল স্যালাইন নেওয়ার পরেই ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি মৃতার পরিবারের। দু'জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের CCU-তে স্থানান্তরিত করা করা হয়। আজ সকালে মামণি রুইদাস নামে প্রসূতির মৃত্যু হলে উত্তজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউতকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্বাস্থ্য দফতর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
গত সপ্তাহে শিশুর জন্মের পর মায়ের মৃত্যু ঘিরে রানিগঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের আত্মীয়দের নিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান পশ্চিমবঙ্গ বাউড়ি সমাজ শিক্ষা সমিতির সদস্যরা। প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে গত শনিবার রানিগঞ্জের বেসরকারি এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অন্ডালের বাসিন্দা কার্তিক বাউড়ির স্ত্রী মামণি বাউড়িকে। পরিবারের দাবি, চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক বিজন মুখোপাধ্যায়। বিকেলেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবণতি হয় মহিলার। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন মামণি বাউড়ি। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতার পরিবার। হাসপাতালের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ। অবরোধ করা হয় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে মৃতার পরিবার ও পশ্চিমবঙ্গ বাউড়ি সমাজ শিক্ষা সমিতির সদস্যরা। সূত্রের খবর, সদ্য মাতৃহারা সদ্যোজাতকে ৬ মাস নিজেদের কাছে রেখে চিকিৎসা ও লালনপালন করার আশ্বাস দেয় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর অবরোধ উঠে যায়।
আরও পড়ুন: Bankura Fire: অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব পুড়ে ছাই, ঝলসে মৃত্যু ২ জনের, গুরুতর জখম ৩