Abhijit Gangopadhyay: 'চলে যেতে হবে, কিন্তু যাওয়ার আগে কিছু করে যাব', এজলাসেই মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Calcutta High Court: এদিন এজলাসে বিভিন্ন সময় আরও কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেও (Recruitment Scam) শীঘ্রই সামনে আসতে পারে আরও বিস্ফোরক কোনও তথ্য? পর্দাফাঁস হতে পারে আরও বড় দুর্নীতির? কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt ) এদিন একটি মামলার শুনানিতে সেরকমই ইঙ্গিত মিলেছে। মঙ্গলবার ২০১৪-র টেটে OMR শিট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে।
এদিন এজলাসে বিভিন্ন সময় আরও কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আর কটা দিন আছে, চলে যেতে হবে, কিন্তু কিছু করে যাব। চলে যেতে হবে, কিন্তু যাওয়ার আগে কিছু করে যাব', এজলাসেই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতির কথা শুনে আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। পাল্টা বিচারপতি বলে ওঠেন, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবেই। এরপর তিনি বলেন, 'যারা ভুলে যায়, তারা অকৃতজ্ঞ, কিছু করে যাব, এভাবে চলতে পারে না'।
এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের (উচ্চতা) সমান দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে আমরা (CBI) ১১ সেপ্টেম্বর এজলাসে হাজির হব। উত্তরে বিচারপতি বলেন, তাহলে তো সেই বিশাল পরিমাণ দুর্নীতি ভেঙে ফেলা দরকার। ২০০১ সালের এই ১১ সেপ্টেম্বর বিধ্বংসী সন্ত্রাসবাদী হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বিল্ডিং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কি এভাবেই নিয়োগ দুর্নীতির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভেঙে পড়তে পারে?
২০১৪ সালের টেটে দুর্নীতি যদি ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের মতই বড় হয়ে থাকে, তাহলে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১১ সেপ্টেম্বর সিবিআই যে তথ্য পেশ করবে তাতে এই দুর্নীতির মাথা পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে সব মহলে। এদিন বিচারব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মনে নতুন করে আশা জেগেছে বলেও, দাবি করেন আইনজীবীদের একাংশ।
আরও পড়ুন, 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সমান বিশাল দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ করব', দিন জানাল CBI
মঙ্গলবার ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়া প্রায় ৮ হাজার জনের চাকরি বাতিলের আবেদন করে মামলা হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারীদের দাবি, এরা প্রত্যেকেই B.ED প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। শর্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে যে ব্রিজ কোর্স করার কথা ছিল, তা তাঁরা আজও করেননি। এরইমধ্যে গত ১১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, B.ED প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রাথমিক শিক্ষক হতে পারবেন না।
এই প্রেক্ষাপটে মহাফাঁপড়ে পড়েছেন প্রায় ৮ হাজার BED প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এদিন এই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।