Abhishek Banerjee: 'পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে', ফের বার্তা অভিষেকের
Panchayat Poll: তিলজলার কাছে পঞ্চান্নগ্রামে নতুন তৃণমূল ভবনের ভিতপুজোর অনুষ্ঠান থেকেই এই বক্তব্য রাখেন তিনি।
কলকাতা: ফের শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতে কেউ অশান্তি করলে তাঁদের প্রতিও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল ভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিলজলার কাছে পঞ্চান্নগ্রামে নতুন তৃণমূল ভবন তৈরি হবে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেখানে ভিতপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন অভিষেক। সেখানেই এই বক্তব্য রাখা হবে।
কী বললেন অভিষেক:
তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কেউ অশান্তি করলে ফল ভাল হবে না। দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্যকে দূর করতে হবে। ২০২১-এর ভোটে হারার পর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।' সব ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। সেখানে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদি বাংলায় সভা করবে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, '৪০ কেন ৫০০ সভা করুক, কিছু যায় আসে না। এর আগেও তো মিটিং করা হয়েছে।' অভিষেকের তোপ, ভোট এলেই বাংলার কথা মনে পড়ে কারও কারও।
সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলা হয়। হাওড়া স্টেশনে সরকারি অনুষ্ঠানে ওই স্লোগানে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিষেকের মন্তব্য, 'রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছে।' সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, 'জয় শ্রীরাম বলে কি রান্নার গ্যাসের দাম কমবে?'
দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল, জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'জলপাইগুড়ির সভা থেকে আমি বলে এসেছিলাম আগামী ছয় মাসে আপনি নতুন তৃণমূল দেখবেন। এটাই নতুন তৃণমূল।'
চাকরিপ্রার্থীদেরও বার্তা:
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এক দফায় মিটিং করেছি চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) সঙ্গে। সবটাই একটা আইনি জটিলতার মধ্যে রয়েছে। সেই কারণেই করা যাচ্ছে না। এসএসসি চেয়ারম্যান থেকে শিক্ষামন্ত্রী যা বলার বলেছেন। দলীয় তরফে আমার সামর্থ, এক্তিয়ার অনুযায়ী যেখানে যা করার করেছি। রাজ্য সরকার এবং দলের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, আমরা চাই যাঁরা আন্দোলন করছেন যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁদের চাকরি হোক। কেউ কেউ মিডিয়ার আলোয় আলোকিত হয়ে সেই আলোর বন্ধনের বাইরে আর বেরোতে পারছে না। তাই রোজ যাতে খবর হয়, এটা যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে চাকরিপ্রার্থীদের বলব, এই বছরে নিজেদের সংকল্প নিতে হবে যে আপনারা সত্যের সঙ্গে থাকবেন। সরকার চায় যাতে আপনাদের চাকরি হয়। গত এক বছরে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে। আমি অনুরোধ করব যাঁরা রাস্তায় বসে আছে তাঁরা যেন সুবিচার পায়।''
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলই সরকার, তৃণমূলই বিরোধী,' কুণাল-মন্তব্যে শুরু বিতর্ক