TMC 21 July Rally: ভোটের দিন মদের পিছনেই ৪০ কোটি, সভ্য লোক BJP করে না: অভিষেক
Abhishek Banerjee: রবিবার কলকাতার ধর্মতলায় দলের 'শহিদ' সমাবেশে বক্তৃতা করেন অভিষেক।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন সংগঠন থেকে। কিন্তু তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আবারও চেনা রূপেই ধরা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাধারণ মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি। পাশাপাশি, বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন। (TMC 21 July Rally)
রবিবার কলকাতার ধর্মতলায় দলের 'শহিদ' সমাবেশে বক্তৃতা করেন অভিষেক। সেখানে আবারও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন তিনি। জানান, রাজনৈতিক স্বার্থে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ। (Abhishek Banerjee)
বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করলেও, নির্বাচনে বিজেপি মদের পিছনে টাকা উড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, "সন্দেশখালিতে চিত্রনাট্য সাজিয়ে বাংলাকে গোটা দেশের সামনে কলুষিত করার চেষ্টা হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন, সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলেছেন, ভোটের দিন প্রতি বুথে বিজেপি-র মদের খরচ ছিল ৫ হাজার টাকা।" সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের যে ভিডিও সামনে আসে, তাতে এমন দাবি করতে শোনা গিয়েছিল গঙ্গাধরকে। এদিন সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'ভাগ মমতা ভাগ বলেছিলেন শাহ, আজ সর্বত্র প্রত্যাখ্যাত বিজেপি', বললেন অভিষেক
বিজেপি মদের পিছনে কত খরচ করেছে, মানুষের সামনে সেই হিসেবও তুলে ধরেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "বাংলায় মোট ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। একটি বুথে ৫ হাজার টাকা খরচ হলে, নির্বাচনের দিনে শুধু মদের পিছনেই ৪০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছেন। এখানেই পার্থক্য। আমরা গরিবের ভাতের জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াই, আর বিজেপি দাঙ্গা করে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করে, মদ খাওয়াতে ৪০ কোটি টাকা খরচ করে।"
কোনও ভদ্র-সভ্য লোক বিজেপি করে না বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক। তিনি বলেন, "আপনারা ভাবছেন ৪০ কোটির মদ কে খায়? পাড়ায়, নিজের এলাকায়, ডাইনে-বাঁয়ে, আগে-পিছে দেখবেন...কোনও ভদ্র, সভ্য লোক বিজেপি করে না। সব মোদো-মাতাল, দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর-চিটিংবাজ বিজেপি করে। তাই এদের বর্জন করেছে মানুষ। ওরা নরেন্দ্র মোদি, ইডি-সিবিআই, কেন্দ্রীয় বাহিনী, টাকা এবং বিচারব্যবস্থার গর্জনে বিশ্বাস করেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম মানুষের গর্জনে। জনগণের গর্জন কী, বিজেপি বুঝে গিয়েছে।"