Arunima Pal Update: চাকরি চেয়ে পুলিশের 'কামড়', গোড়া থেকেই সরব এবিপি আনন্দ
West Bengal News: চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য় রাজ্য় সরকারকে সুপারিশ করল রাজ্য় মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনার পরই নিন্দায় সরব হয়েছিল এবিপি আনন্দ।
কলকাতা: চাকরি চেয়ে রাস্তায় নেমে জুটেছিল পুলিশের কামড়! সেই আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে (Arunima Pal) ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য় রাজ্য় সরকারকে সুপারিশ করল রাজ্য় মানবাধিকার কমিশন (West Bengsl Human Rights Commission)। সেদিন যখন আন্দোলনকারীকে ছুটে গিয়ে এক পুলিশকর্মীর কামড়ানোর ছবি সামনে এসেছিল, তীব্র ধিক্কারে সরব হয়েছিল এবিপি আনন্দ (ABP Ananda)।
চাকরি চাইতে নেমেছিলেন রাস্তায়। বদলে জুটেছিল পুলিশের কামড়। আন্দোলন মোকাবিলায় পুলিশের এহেন কীর্তি দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন মহলে।সেই আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য় রাজ্য় সরকারকে সুপারিশ করল রাজ্য় মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনার পরই নিন্দায় সরব হয়েছিল এবিপি আনন্দ।
ঠিক কী ঘটেছিল গত বছরের ৯ নভেম্বর?
প্রাথমিকে চাকরির দাবিতে পথে নামেন আন্দোলনকারীরা। এক্সাইড মোড় থেকে একদল চাকরিপ্রার্থী দৌড়তে দৌড়তে, ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে চলে আসেন। তাঁদের টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই আচমকা দৌড়ে আন্দোলনকারীর অরুণিমার হাতে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের মহিলা কনস্টেবল ইভা থাপা। যদিও পুলিশ দাবি করে, যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতেও কামড়ে দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী। শুধু তাই নয়, SSKM হাসপাতালে ভর্তিও করা হয় ওই পুলিশকর্মীকে। অন্যদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে অরুণিমা সহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু হয় মামলা। এমনকি, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এক পুলিশ অফিসারের চরম অসংবেদনশীল আচরণের শিকার হতে হয় হলে অভিযোগ করেন আন্দোলকারীরা।যদিও, শেষমেশ আদালতে ধোপে টেকেনি পুলিশের যুক্তি। জামিন পান সবাই।
আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল বলেন, “সেদিন যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কি সুস্থ সমাজে কাঙ্খিত? আমার ওপর যে নির্যাতন-প্রহসন হয়েছে, সেটা কি অর্থের বিনিময়ে মেটানো সম্ভব? প্রমাণিত হল পুলিশ আইনরক্ষক হয়েও এই টর্চার করে।’’ রাজ্য় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “ আমরা কমপেনসেশন রেকমেন্ড করেছি। ৩০ হাজার টাকা। আরেকটা রেকমেন্ডেশন ছিল, সেকেন্ড লক আপ তৈরির জন্য়। এখানে সাক্ষী রেকর্ড করার পরই সব করেছি। অ্য়াকশন টেকেন রিপোর্ট ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে দিতে হবে। সরকার দেবে।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: WB Dengue: ভোটের জন্য ব্যাহত প্রতিরোধের কাজ! ডেঙ্গির দাপটে দাবি জেলা প্রশাসনের