Raksha Bandhan Special: গালওয়ানে শহিদ দাদা রাজেশ, চোখের জলে ছবিতেই রাখি উৎসর্গ করে পালন বোন শকুন্তলার
২০২০ সালের ১৬ জুনের কথা মনে পড়লেই আজও গলা ধরে আসে শকুন্তলা ওরাংয়ের। কিন্তু পরক্ষণেই ব্যক্তিশোক আগলে দেশের জন্য দাদার বলিদানের কথা মনে পড়লেই মুখে ফুটে ওঠে গর্বের-আনন্দের হাসির ঝলক।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বেলগড়িয়া (বীরভূম) : এ যেন এক অন্যরকমের রাখি বন্ধন পালন। উৎসবের দিন আসে, কিন্তু যার জন্য যাবতীয় আয়োজন, নেই তিনিই। ব্যস্ততার মাঝেও প্রায় প্রত্যেক বছর নিয়ম করে রাখির দিনে হাজির হতেন দাদা। উপহারে-আদরে বোনের সঙ্গে কাটাতেন বিশেষ দিন। কিন্তু এখন সে সুযোগ আর নেই। দেশের সীমান্ত রক্ষার করার কর্তব্যের মাঝে গতবছর গালওয়ানে শহিদ হয়েছেন রাজেশ ওরাং। তাই চোখের জলে বিশেষ দিনটিতে দাদার ছবিতে রাখি উৎসর্গ করেই পালন করেন বোন। ২০২০ সালের ১৬ জুনের কথা মনে পড়লেই আজও গলা ধরে আসে শকুন্তলা ওরাংয়ের। কিন্তু পরক্ষণেই ব্যক্তিশোক আগলে দেশের জন্য দাদার বলিদানের কথা মনে পড়লেই মুখে ফুটে ওঠে গর্বের-আনন্দের হাসির ঝলক।
বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার বেলগড়িয়ার ছেলে সশরীরে আর না থাকলেও গোটা গ্রাম এখনও গর্ব করে তাদের ছেলে রাজেশ ওরাংকে নিয়ে। সেনাবাহিনীতে চাকরি পাওয়ার পরই নিজেদের পাকা বাড়ি তৈরির ভাবনা ছিল রাজেশের, কিন্তু সে কাজ শুরু হওয়ার পরই তিনি গালওয়ান সীমান্তে চিনা সেনার সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝে শহিদ হন। দাদা না থাকলেও তাঁর স্বপ্নের বাড়ি তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বোন শকুন্তলা। বেশ কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমেও প্রিয় দাদাকে নিজের মতো করে বাঁচিয়ে রেখেছেন বোন। আর গতবছরের মতো এবারও নিজের মতো করেই দাদার ছবিতে রাখি উৎসর্গ করে রাখিবন্ধন পালন করবেন শকুন্তলা। ইতিমধ্যেই সে জন্য রাখি কিনে এনেছেন তিনি। শকুন্তলা বলছিলেন, 'প্রায় প্রত্যেক বছর নিয়ম করে দাদা রাখিতে বাড়ি আসার চেষ্টা করত। কখনও কাজের ব্যস্ততায় না আসতে পারলে আগে থেকে জানাতো যাতে মন খারাপ না করি। রাখি তুলে রাখতাম, দুর্গাপুজোর সময় এলে ওঁকে রাখি পরিয়ে দিতাম। পুজোয় দাদা এলে বিভিন্ন জায়গায় ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যেত।'
আরও পড়ুন-
শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন ও রবীন্দ্রনাথের রাখিবন্ধন
রাখিতে বোনকে সেরা উপহার, রইল ১৫,০০০টাকার মধ্যে লেটেস্ট পাঁচ ফোন