Tajpur Port: বিপুল কর্মসংস্থানের আশা, তাজপুরে সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী
Adani Group: তাজপুরে বন্দির তৈরি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিছু আfনি জটিলতা দেখা দেয় তা নিয়ে। অবশেষে সেই জটিলতা কেটেছে।
আশাবুল হোসেন, সুমন ঘড়াই, দীপক ঘোষ, কলকাতা: তাজপুরে সমুদ্র বন্দর (Tajpur Port) তৈরির বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। সোমবার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সমুদ্র বন্দর তৈরিতে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নবান্নের (Nabanna) দাবি, এতে প্রত্যক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার।
তাজপুরে সমুদ্র বন্দর নির্মাণ আদানিদের হাতেই
তাজপুরে বন্দির তৈরি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিছু আইনি জটিলতা দেখা দেয় তা নিয়ে। অবশেষে সেই জটিলতা কেটেছে। শেষমেশ তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত পেল আদানি গোষ্ঠীই। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মিলল ছাড়পত্র।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই তাজপুরে বন্দর করার জন্য টেন্ডার ও ডিপিআর প্রসেস চলছিল। দু’জন অংশগ্রহণ করেছিল এ বিষয়ে। তাজপুর বন্দর করতে সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। কেন্দ্র কোনও সাহায্য করেনি। রাজ্য নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে করেছে।’’
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'ববির প্রমোশন হয়নি', আচমকা কী নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ ?
তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, তাতে অংশ নেয় গৌতম আদানির সংস্থা, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, জিন্দল গ্রুপ-সহ একাধিক সংস্থা। কিন্তু, সবাইকে পিছনে ফেলে বাংলার তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত পেল আদানিরাই।
গ্রাফিক্স আউট
গুজরাত থেকেই গৌতম আদানির ব্যবসার উত্থান। গত কয়েক বছরে দেশ থেকে বিদেশ ছড়িয়ে পড়েছে আদানির শিল্প সাম্রাজ্য। রকেটের গতিতে তাঁর উত্থান। বর্তমানে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি। আর বিশ্বের দ্বিতীয়তম। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচিতি। সম্প্রতি নবান্ন এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন গৌতম আদানি। গুজরাতে শিল্প সম্মেলনে যেমন নিয়মিত দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায় গৌতম আদানিকে।
প্রত্যক্ষ ভাবে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার
তাজপুরে অগভীর সমুদ্র বন্দর তৈরিতে সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে দাবি, তাজপুর বন্দরে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার। পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১ লক্ষ।