Joynagar Incident Update: দেড় দিন পার, তৃণমূল নেতার 'হত্যা'-র অভিযোগে ৩ দুষ্কৃতী এখনও অধরা
TMC Leader Death:খুনের অভিযোগ,পাল্টা হামলার দাবি ঘিরে আজও উত্তপ্ত জয়নগর। গত কাল ভোরে তৃণমূল নেতার হত্যার অভিযোগ ওঠার দেড় দিন কেটে যাওয়ার পরও অধরা ৩ দুষ্কৃতী
হিন্দোল দে, জয়নগর: খুনের অভিযোগ,পাল্টা হামলার দাবি ঘিরে আজও উত্তপ্ত জয়নগর (Joynagar Incident Update)। গত কাল ভোরে তৃণমূল নেতার হত্যার অভিযোগ ওঠার দেড় দিন কেটে যাওয়ার পরও অধরা ৩ দুষ্কৃতী (Miscreants of TMC Leader Death Remain at Large)। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে 'খুনের' আগের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। কে সুপারি দিয়েছিল সইফুদ্দিন লস্করকে 'খুনের'? এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত যে এক জনকে ধরা গিয়েছে, সেই সাহারুল শেখের দাবি, সে গুলি চালায়নি। সাইফুদ্দিন বলে কেউ গুলি চালিয়েছিল। গোটা ঘটনায় ৩টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। উঠে এসেছে আনিসুর নামে এক সিপিএম নেতার নাম। এই আনিসুরই কি বাকিদের সুপারি দেয়? স্পষ্ট নয়। অন্য দিকে, দলুয়াখাকি গ্রামে গত দিনে তাণ্ডবের পর ঘরছাড়াদেরই গ্রামে ফিরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে কার্যত ফুঁসছে দলুয়াখাকি।
যা জানা গেল...
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সাহারুল শেখের উস্থি থানার নতুনপাড়ায় যাতায়াত করত। তবে সেখানে তার মামা ও মাসির বাড়ি, সে সূত্রে মাঝেমধ্যে যাতায়াত ছিল সাহারুলের। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সাহারুল কখনও রাজমিস্ত্রি, কখনও দর্জির কাজ করত। এদিন তার ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে বলে খবর। যদিও সাহারুল সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করে, খুন সে করেনি। খুনের কথা জানতই না। কোনও টাকাও তাকে দেওয়া হয়নি। তা হলে কেন এসেছিল জয়নগরে? স্পষ্ট উত্তর না মিললেও তার কথা থেকে নাসের বা 'বড় ভাই'-র কথা জানা গিয়েছে। এই ব্যক্তিই তাকে এনেছিল, দাবি সাহারুলের। ধৃতের আরও দাবি, সে গুলি চালায়নি, চালিয়েছে সাইফুদ্দিন। পুলিশ সূত্রে খবর, রীতিমতো রেইকি করে, ছক কষে খুন করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। যে দুটি বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসেছিল বলে স্থানীয়দের দাবি, সেই দুটি বাইক এদিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি বাইকে নম্বর প্লেট নেই। এখন প্রশ্ন, বাইকটি কার?
আর যা...
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, তৃণমূল নেতা খুনের জন্য লক্ষাধিক টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। খুনের আগের দিন এলাকায় এসে রেকি করে ভাড়াটে খুনিরা, প্রাথমিক ভাবে জেনেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে এখানেও। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, হত্যার মাত্র দিনচারেক আগে থেকেই ভোরের দিকে বেরোতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। সেই খবর কে পৌঁছে দিল আততায়ীদের কাছে? কে দিল খুনের সুপারি? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।