Kolkata Accident:ওয়াটগঞ্জে রাতের আঁধারে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় জখম পথচারী, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ স্থানীয়দের
Agitation:ওয়াটগঞ্জে রাতের আঁধারে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় জখম এক পথচারীর জখম হওয়া ধিরে তুলকালাম বাধল এলাকায়। টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ ইস্ট ক্যানাল রোড ও পরে খিদিরপুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
সৌমিত্র রায় ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ওয়াটগঞ্জে রাতের আঁধারে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় (Kolkata Accident) জখম এক পথচারীর জখম হওয়া ধিরে তুলকালাম বাধল এলাকায়। টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ ইস্ট ক্যানাল রোড ও পরে খিদিরপুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা (Local Agitation)। ঘটনাটি ঘটে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। অভিযোগ, ওয়াটগঞ্জ থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পণ্য বোঝাই লরি খিদিরপুরের দিকে যাওয়ার সময় মহম্মদ দানিশ নামে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। এসএসকেএমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ৩১ বছরের ওই যুবক। পুলিশের দাবি, তিনিও স্থানীয় বাসিন্দা। খালাসিকে আটক করা হলেও লরিচালক পলাতক। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় বেপরোয়াভাবে ট্রাক-লরি চলাচল করে। যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটে। তার পরেও পুলিশ উদাসীন। ঘণ্টাতিনেক পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
দুর্ঘটনা বার বার...
রাতের অন্ধকার হোক বা দিনের আলো, এই রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনার খবর আকছার শোনা যায়। অদ্ভুত বিষয় হল, তার পরও প্রশাসনের নজরদারি কতটা বেড়েছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। গত কাল, অর্থাৎ রবিবারই যেমন কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে হন ৬ জন যাত্রী। বেলা ১১টা নাগাদ সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে একটি যাত্রীবাহী বাস ধর্মতলা থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের খেজুরতলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে একটি ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে। তাতেই দুর্ঘটনা।
জখম কারও মাথা ফেটে যায়, কারও আবার হাত-পায়ে চোট লাগে। আহতদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি মোটর সাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই সরকারি বাস ধাক্কা মারে ডিভাইডারের পাশের ল্যাম্পপোস্টে। বাসের ব্রেক ফেল করাতেই এই দুর্ঘটনা, ধারণা পুলিশের। প্রাথমিকভাবে ট্রাফিক পুলিশ মনে করছে, বাসের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য এই দুর্ঘটনা।
এই ঘটনার দিনদুয়েক আগেই আবার, টায়ার পাংচার হয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় দিঘা-কলকাতা এসি বাস। আহত হন ১০ থেকে ১২ জন বাস যাত্রী। এর মধ্যে গুরুতর জখম হন ২ জন। তাঁদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল দিঘা-কাঁথি জাতীয় সড়কে। রাতে দিঘা থেকে কলকাতা আসার পথে টায়ার পাংচার হয়ে জাতীয় সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রামনগর থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা যানজটমুক্ত করে।