Alipurduar : করোনা ত্রাসের মধ্যেই ডেঙ্গির থাবা আলিপুরদুয়ারে, আক্রান্ত ৬, মৃত্যু এক প্রৌঢ়ের
মশাবাহিত রোগের প্রকোপ কমাতে তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : করোনার প্রকোপ এখনও কমেনি। তারই মধ্যে ডেঙ্গির থাবা। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়াপ্রবণ আলিপুরদুয়ারে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। পাশাপাশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কালচিনির এক বাসিন্দার মৃত্যুও হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার এমনিতেই ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা। কয়েক বছর আগে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া জয়গাঁতে ব্যাপক হারে ছড়িয়েছিল ডেঙ্গি। সেই সময়ই সরকারি হিসেবে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে আরও চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে জেলায় খুব বেশি ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। চলতি বছরেও পরিস্থিতি তেমনটাই ছিল। কিন্তু বর্ষাকাল পড়তে না পড়তেই সম্প্রতি কালচিনির এর বাসিন্দা হঠাৎই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে বছর ষাটেকের ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে প্রথমে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল এবং তারপর কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্ত পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। রবিবার ওই ব্যক্তির মৃত্যুও হয়।
অন্যদিকে, বেশ কিছুদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে বিশেষ নজরদারির কাজ শুরু হয়েছে। শুধু বর্ষাকালের জ্বরের সমস্যাই নয়, এরইসঙ্গে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাতেও জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই পরীক্ষাতেই জেলার ৫টি ব্লকে ৬ জন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই কালচিনির বাসিন্দা। সূত্রের খবর, আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এরই পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়দানে নেমে পড়েছে কালচিনি ব্লক প্রশাসন। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরকে সঙ্গে নিয়ে জরুরি বৈঠক করার পাশাপাশি চলছে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও। কোথাও যাতে জল না জমে থাকে, সেই সতর্কতামূলক অভিযানে নেমেছেন স্বয়ং বিডিও।