তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের অডিট রিপোর্টে সাড়ে চার কোটি টাকার দুর্নীতি-বিতর্ক
অডিট রিপোর্ট তুলে ধরে আক্রমণে নেমেছে বিজেপি। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: তৃণমূল পরিচালিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের অডিট রিপোর্টে বেনিয়মের উল্লেখ। বিধি ভেঙে একটি সংস্থাকে অগ্রিম প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগ। অডিট রিপোর্ট তুলে ধরে আক্রমণে নেমেছে বিজেপি। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
তৃণমূল পরিচালিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারের করানো অডিট। আর সেই অডিট রিপোর্টে বেনিয়মের উল্লেখ ঘিরে সরগরম জেলার রাজনীতি। অভিযোগ, আইনের তোয়াক্কা না করেই একটি সংস্থাকে দফায় দফায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা দিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ।
৭ বছর ধরে রাস্তা সংস্কার ও রাস্তার আলো লাগানোর খাতে দেওয়া হয়েছে অগ্রিম টাকা। অথচ বরাত প্রাপ্ত সংস্থা তার জন্য এক টাকাও সিকিওরিটি ডিপোজিট রাখেনি। বিজেপির অভিযোগ, ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন লিমিটেড নামে যে সরকারি সংস্থাকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে, জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য কল্পনা নাগ জানিয়েছেন, সাধারণ সভায় এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমাকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ তৃণমূল নেত্রী ও সভাধিপতি শীলা দাস সরকারের কথায়, যে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর মধ্যে সত্যতা নেই। নিয়ম মেনেই কাজ করিয়েছি। সংস্থার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেখেই পেমেন্ট হয়েছে।
এখানেই থামছে না বিতর্ক। অডিট রিপোর্ট সূত্রে খবর, আংশিক ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিয়েই কাজ করেছে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। অভিযোগ, তাদের সেই কাজ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ যাচাই পর্যন্ত করেনি।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপির সহ সভাপতি জয়ন্ত রায় জানিয়েছেন, বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ আনছে সেটা কেউ বলতে পারবেনা। এই টাকা তৃনমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ আত্মসাৎ করেছে। কেন্দ্রকে দিয়ে অডিট করালে এই অ্যামাউন্ট ৪ কোটি থেকে ৪০০ কোটিতে পৌঁছতে পারে। এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।