Saayoni Ghosh: 'আমি ওঁকে যতদূর চিনি...', সরকারি কমিটি থেকে দেবের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন সায়নী
Saayoni on Dev: দেবের পদত্যাগের সম্ভাব্য কারণ জানালেন তিনি। তবে তাতেও জল্পনা শেষ হচ্ছে না।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে আচমকা সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ। তার পর থেকেই তৃণমূল সাংসদ দেবকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সেই নিয়ে এবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। দেবের পদত্যাগের সম্ভাব্য কারণ জানালেন তিনি। তবে তাতেও জল্পনা শেষ হচ্ছে না। (Saayoni on Dev)
কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বকেয়া টাকার দাবিতে কলকাতায় ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সেই ধর্নামঞ্চে পৌঁছন সায়নীও। সেখানে দেবের পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "সাংসদ পদে লড়তে গেলে অফিস অফ প্রফিট পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। এটা একটি কারণ হতে পারে। অভ্যন্তরীণ কী বিষয়, সেটা দেব ছাড়া কেউই পরিষ্কার করে বলতে পারবেন না। তব আমি দেবকে যতটা চিনি, দলের সঙ্গে দেবের সম্পর্ক যতটা জানি, আমার মনে হয় না তৃণমূলের কারও চিন্তার কিছু বিষয় রয়েছে।"
তবে সায়নী চিন্তার কিছু নেই বললেও, দেবের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। এমনকি বিরোধী দল বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, "দেবের ছবিতে গরু এবং কয়লা পাচারের টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তখন যা বলেছিলাম, আবারও বলছি, সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে নরকবাস। দেব ভাল ছেলে। কথাবার্তাও ভাল। দেখা হলে কথা হয়। তাঁকে শুধু বলব, অসৎসঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। ওঁর সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, আগামী দিনে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে নেই। আগেও ছিল না। এবারও চাপ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দেবের ইচ্ছা নেই।"
আরও পড়ুন: Hiranmoy Chatterjee: হারবেন জেনেই ভোটে দাঁড়াতে অনীহা দেবের? দাবি হিরণের
তবে সুকান্ত ব্যক্তি দেবের সুখ্য়াতি করলেও, বিজেপি-র বিধায়ক, দেবের সতীর্থ হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, "বিলম্বে বোধোদয়। উনি ভাল অভিনেতা। কিন্তু রাজনীতি করতে হলে ২৪ ঘণ্টা মানুষের কাজ করতে হবে। গত ১০ বছরে কত বার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়েছেন দেব? ওঁর জন্যই ঘাটালে উন্নয়ন থমকে রয়েছে। এবার হারবেন জেনেই দাঁড়াতে চাননি।"
হিরণ আরও বলেন, "ঘাটালে শিশু উৎসবে প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে মারামারি হয়েছে ওঁর। টেবিল ছোড়াছুড়ি হয়েছে, মারামারি হয়েছে। ওদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে কী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে! এর একটাই কারণ, কে কত কাটমানি পাবে, কে কত কমিশন পাবে। সাধুবাদ জানাই, ১০ বছর পর বোধোদয় বল যে রাজনীতি এবং অভিনয় একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। উনি অত্যন্ত ভাল অভিনেতা। বার বার বলেছি, ওঁর কাজ অভিনয় করা। অভিনয়. করতে করতে রাজনীতির নাম করে, পাঁচ বছরে একবার ভোট চাইতে আসব, তার পর জিতে গিয়ে আর আসব না, সংসদে যাব না। এটা কাজের কথা নয়। এই বোধোদয় আগে হলে ঘাটালের উন্নতি হতো। " তবে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি দেব।
সবিস্তার আসছে