Illegal Building: তৃণমূল কাউন্সিলরের বহুতল বাড়ি বেআইনি ! গুরুতর অভিযোগ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের
Illegal Construction: সজল ঘোষের অভিযোগ, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় দু'তলা একটি বাড়ি কিনেছিলেন। কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। পরবর্তীতে পাঁচতলা হয়ে যায় সেই বাড়ি। সম্ভবত চারতলা অবধি বাড়ি করার অনুমতি ছিল।

কলকাতা : বহুতল বিপর্যয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার শাসক দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িই অবৈধ। সন্তোষপুরে বাড়ি কিনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির একটি ফ্লোর অবৈধ, দাবি বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের। আগে বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েও পরে বৈধ বলে ঘোষণা পুরসভার। এমনই গুরুতর অভিযোগ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসক দলের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সজল ঘোষের অভিযোগ, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় দু'তলা একটি বাড়ি কিনেছিলেন। কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। পরবর্তীতে পাঁচতলা হয়ে যায় সেই বাড়ি। সম্ভবত চারতলা অবধি বাড়ি করার অনুমতি ছিল। এরপর বাড়ির পিছনের জমি অনন্যা কিনে নেন বলে অভিযোগ সজল ঘোষের। একত্রীকরণ হয় জমির। সজল ঘোষের আরও অভিযোগ, সন্তোষপুরে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো বাড়িটাই বেআইনি ভাবে দাঁড় করানো হয়েছে। পুরসভার কয়েকদিন আগের এমআইসি মিটিংয়ে এই বাড়িকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সজল ঘোষের কথায়, মেয়র বলেছেন, পুরসভার বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে কাউন্সিলরদের কোনও যোগাযোগ নেই। অথচ কাউন্সিলররা নিজেদের নামে এইসব বেআইনি নির্মাণ করছেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
তবে সজল ঘোষের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বাড়িতে থাকার যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। কলকাতা পুরসভা এলাকায় থাকতে গেলে যে কাগজপত্র লাগে, যে নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি করতে হয়, সবই তাঁর করা আছে। সজল ঘোষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'কোন বাবু কী বললেন, তাঁকে উত্তর দেওয়ার আমার কোনও দায়ও নেই, দায়বদ্ধতাও নেই। একটি ঠিকানা দেখে কোনও বাড়ি বৈধ না অবৈধ বলা যায় না। যে কেউ যখন তখন একটা অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু সেটার তো বৈধতা দেখতে হবে। সজলবাবু কি কোনও কাগজপত্র দেখিয়েছেন, নাকি মুখেই বলছেন? সজলবাবু না জেনে অনেক কথা বলছেন। জি প্লাস থ্রি কিনে তারপর জি প্লাস ফোর হয়েছে বাড়িটি।' অনন্যা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়েই বাড়ি কিনেছেন তিনি। সেখানেও লোন পাওয়ার জন্য যাবতীয় বৈধ নথি তিনি জমা দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য বলেছেন, কলকাতা পুরসভার এলাকাতে বাড়ি তৈরি করার জন্য যা যা নিয়ম মানতে হয়, যা যা কাগজপত্র থাকা দরকার, বাড়িতে থাকতে গেলে যা যা নথি প্রয়োজন, তার সমস্ত বৈধ নথি তাঁর কাছে রয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
