(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
BJP Nabanna Abhijan Update: নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ, অনুসন্ধান কমিটি গঠন বিজেপির
Nabanna Abhijan: ঘটনার অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় দল গঠন করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
কলকাতা: নবান্ন অভিযানে দলীয় কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে সরব হল বিজেপি (BJP)। দলের দিল্লি দফতর থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনার অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় দল গঠন করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ওই দলে আছেন, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, লোকসভার সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা সুনীল জাখর এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুনীল ওঁরাও। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করবেন। সেই রিপোর্ট তাঁরা তুলে দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার হাতে।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র: গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গার দু’পাড়। গঙ্গার পূর্ব পাড়ের কলকাতা থেকে পশ্চিম পাড়ের হাওড়া। বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে কার্যত যুদ্ধের সাক্ষী রইল দুই প্রাচীন শহর। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া ব্রিজে ব্যারিকেড করে পুলিশ নবান্নমুখী বিজেপির মিছিল আটকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন বিজেপি-কাউন্সিলর-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। আহত হন পুলিশ কর্মীরাও। ইট, কাঁচের বোতল ছোড়া থেকে, বাঁশ-লাঠি নিয়ে দৌড়ানো, লালবাজারের অদূরে পুলিশের গাড়িতে আগুন। পাল্টা পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ, নবান্ন অভিযানে বাদ গেল না কিছুই। অভিযানের শুরুতেই আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনেও উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সকাল থেকে শুরু হয়ে কার্যত সন্ধে অবধি পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। আর এই অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। পুলিশের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। অনুসন্ধান করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযানে এসিপি-কে মারধরের অভিযোগে আরও ২ জন গ্রেফতার। কেউ কামিয়ে ফেলেছিল গোঁফ, কেউ কেটে ফেলেছিল মাথার চুল। এইভাবে ভোল বদলেও শেষরক্ষা হল না। বিজেপির নবান্ন অভিযানে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে মারধরের অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রাজকুমার মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। গোঁফ কামিয়ে ফেলেছিলেন রাজকুমার। দ্বিতীয় অভিযুক্ত বিকাশ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে। বিকাশ চুল কেটে ফেলেছিলেন। এই নিয়ে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল।
আরও পড়ুন: Joka-BBD Bag Metro: হয়ে গেল জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রোর ট্রায়াল রান, এবছরই ছুটবে ট্রেন?