Amarnath Yatra: 'ভোলেবাবার জায়গা, মৃত্যুভয় নেই', পহেলগাঁও হামলার স্মৃতি ভুলে সেই রুটেই অমরনাথ যেতে চান তীর্থযাত্রীরা
Kashmir News: দুর্গম পাহাড়ের বুকে তুষারধবল শিবলিঙ্গ... আধ্য়াত্মিক টান, সঙ্গে অপরূপ প্রকৃতির প্রেমে, প্রতিবছরই অমরনাথ যাত্রায় সামিল হন হাজার হাজার পুণ্য়ার্থী

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে পঁচিশ জন হিন্দু পর্যটকদের খুন করেছে জঙ্গিরা। তাতেও তীর্থযাত্রীদের মনোবল ভাঙেনি। আসন্ন অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে তুঙ্গে উৎসাহ।সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীর ব্য়াঙ্কের বিবাদী বাগ ও মল্লিক বাজার শাখা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার পুণ্য়ার্থী অমরনাথ যাওয়ার পারমিট পেয়েছেন। তীর্থযাত্রীরা বলছেন, 'ওটা হিন্দুদের জায়গা। ভোলেবাবার জায়গা। জীবন মৃত্য়ুর ভয় নেই। আরও যাব।'
দুর্গম পাহাড়ের বুকে তুষারধবল শিবলিঙ্গ... আধ্য়াত্মিক টান, সঙ্গে অপরূপ প্রকৃতির প্রেমে, প্রতিবছরই অমরনাথ যাত্রায় সামিল হন হাজার হাজার পুণ্য়ার্থী। কিন্তু, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ভূস্বর্গকে বিভীষিকাময় করে তুলেছে। যে সবুজ উপত্য়কা পেরিয়ে প্রতিবছর অমরনাথ যাত্রায় যান পুণ্য়ার্থীরা মঙ্গলবার এই গালিচাই ভেসেছে হিন্দু পর্যটকদের রক্তে। কিন্তু সেই সন্ত্রাস, আতঙ্ক পুণ্য়ার্থীদের মনোবল যে এতটুকুও ভাঙতে পারেনি, তার প্রমাণ অমরনাথ যাওয়ার জন্য় এই আবেগ।
ব্য়ারাকপুরের বাসিন্দা দোলন মণ্ডল বলছেন, 'চন্দনওয়াড়ি থেকে যাব। ইচ্ছে আছে পহেলগাঁও থেকে যাওয়ার। যে ডেটে যাওয়ার পারমিশন পাবেন, সেই ডেটে কী হবে। তবে সরকার যা চয়েস দেবে, তা দিয়ে যেতে হবে।' সোদপুরের বাসিন্দা শুভদীপ দাস বলছেন, 'ইচ্ছা পহেলগাঁও হয়ে যাওয়ার। রেজিস্টরেশনের ডেটের ওপর নির্ভরশীল। একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হামলা হয়েছে অবশ্য়ই। কিন্তু প্রশাসন সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা আছে।'
অমরনাথ যাত্রার দুটো রুট। একটি বালতাল হয়ে... এই পথে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগে। আরেকটি পহেলগাঁও... এই রুটে অমরনাথের বেস ক্য়াম্পে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ থেকে ৫ দিন। দেরীতে হলেও, পুণ্য়ার্থীদের প্রথম পছন্দ পহেলগাঁও রুট-ই। কারণ, এই পথে উপত্য়কার অপরূপ রূপ। কিন্তু, সেই পহেলগাঁওয়েই স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়দের সামনে বেছে বেছে খুন করা হয়েছে হিন্দু পর্যটকদের। পর্যটকদের মধ্য়ে ত্রাস, আতঙ্ক আনার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, সেই চেষ্টা যে পুরোপুরি ব্য়র্থ হয়েছে, তার প্রমাণ পহেলগাঁও পেরিয়ে অমরনাথে যাওয়ার এই ভয়হীন আবেগ।
বরানগরের বাসিন্দা, মহুয়া দাস বলছেন, 'কোনও ভয় কাজ করছে না। আমরা ঈশ্বরের কন্ট্রোলে। তিনি দেখবেন। চন্দনওয়াড়ি(পহেলগাঁও) হয়েই যাব।' সোদপুরের বাসিন্দা সুমনা রায় বলছেন, 'একদম ভয় পাচ্ছি না। ঈশ্বর দেখে নেবে। পহেলগাঁও হয়ে যাব। ওই ঘটনার জন্য় যে ভয়ে যাব না, এমনটা নয়।' ৩ জুলাই শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। সেখানে যাওয়ার জন্য় প্রথমে কমপালসরি হেল্থ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে হয় সরকারি হাসপাতাল থেকে। তারপর সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়, নির্দিষ্ট ব্য়াঙ্কের বিশেষ শাখায়। তারপরই মেলে অমরনাথ যাত্রার পারমিট।
মল্লিকবাজার শাখার জম্মু ও কাশ্মীর ব্য়াঙ্কের ম্যানেজার অনিল শর্মা বলছেন, 'মানুষ আমাদের ব্য়াঙ্কে আসছে। টাকা দিচ্ছে। ৩ তারিখ থেকে যাত্রা। যাত্রা শেষের ৮দিন আগে পর্যন্ত পারমিট দেওয়া হয়। প্রচুর মানুষ আসছে। যে ঘটনা ঘটেছে, তাতেও উৎসাহের শেষ নেই।' সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীর ব্য়াঙ্কের বিবাদী বাগ ও মল্লিক বাজার শাখা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার পুণ্য়ার্থী অমরনাথ যাওয়ার পারমিট নিয়েছেন।






















