Anubrata Mandal: কলকাতায় অনুব্রত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আজ ফের হাজিরা দেওয়ার কথা
Post Poll Violence Case: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় গত ২৪ মে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই (CBI)। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে ১৫ দিন সময় চান অনুব্রত।
কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় চতুর্থ বারের জন্য তলব তৃণমূল নেতা (TMC) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। বুধবারই রাতে বোলপুর থেকে নিউটাউনের চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে আসেন অনুব্রত (Kolkata News)।
গত বছরের ২ মে, ইলামবাজারের গোপালনগরে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে (Post Poll Violence Case)। সেই মামলাতেই তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এর আগে তিনবার হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
এক দিন আগেই কলকাতায় অনুব্রত
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় গত ২৪ মে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই (CBI)। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে ১৫ দিন সময় চান অনুব্রত। ওই আবেদনের ন'দিনের মাথায় ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ফের অনুব্রতকে তলব করল সিবিআই।
সম্প্রতি গরুপাচার মামলাতেও নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়ান অনুব্রত। আইনজীবীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দেন, অসুস্থতার কারণে চিকিত্সকরা তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তাই তিনি বিশ্রামে রয়েছেন। সিবিআই চাইলে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্ত করছে CBI’এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর দিন, ইলামবাজারের গোপালনগরে খুন হন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করায় তাঁকে পিটিয়ে খুন করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
সেই ঘটনায় নিয়ে ইলামবাজার থানায় ২৪ জনের নামে FIR করেন নিহতের বাবা। তাতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় CBI। তবে, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, CBI-র কাছে হাজিরা এড়ালেন তিনি।
একাধিক বার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত
৪৫ দিন পর শুক্রবার, কলকাতা থেকে বোলপুরের বাড়িতে ফেরেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেই সময় তাঁর সাক্ষাৎ পেতে উপচে পড়ে ভিড়। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কারও সঙ্গেও সে ভাবে দেখা করেননি অনুব্রত। বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। অংশ নিচ্ছেন দলের সভা-মিছিলেও। তার মধ্যেই মঙ্গলবার সিউড়ির মাজারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিজের মেয়ের নামে চাদর দিতে যান অনুব্রত।