Cattle Smuggling Case: প্রভাবশালীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে কী ভূমিকা! অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে আসানসোল নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই
Kolkata News: ৯ জুন গ্রেফতারের পর সায়গলকে নিয়ে এর আগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (Cattle Smuggling Case)।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসানসোল সিবিআই আদালতে। নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসানসোলে। তাঁকে ফের হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI), খবর সূত্রের। এই মর্মে আদালতে আবেদন জানানো হতে পারে। গত ৯ জুন গ্রেফতারের পর সায়গলকে নিয়ে এর আগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (Cattle Smuggling Case)।
সায়গলতে হেফাজতে রাখতে চায় সিবিআই
সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র। তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু বেনামে সায়গলের আরও সম্পত্তি রয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। সেই সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে আরও কিছুদিন তাঁকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন গোয়েন্দারা। সেই মর্মে আবেদন জানানো হবে আসানসোল সিবিআই আদালতে।
গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে সায়গলের যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ফোনে যে দু'জনের যোগাযোগ ছিল, সায়গলের কললিস্ট দেখে তা জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই সংক্রান্ত এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর অধরা রয়েছে। তা নিয়েও সায়গলকে জেরা চালিয়ে যেতে চান গোয়েন্দারা।
অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা বলে দাবি সিবিআই-এর
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এবং প্রশাসনের হেভিওয়েট কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে এনামুলের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজটি সায়গলই করতেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তার পরিবর্তে তিনি কী কী সুবিধা নিয়েছিলেন, প্রভাবশালীদের মধ্যে কে কে জড়িত ছিলেন, সেই সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চায় সিবিআই।
বোলপুরের একটি আবাসনে সম্প্রতি সায়গলের ফ্ল্যাটে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডোমকল এবং বীরভূমের বোলপুর ও সিউড়িতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সায়গলের। পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করে কী করে এত সম্পত্তির অধিকারী হলেন সায়গল, তা নিয়েই প্রশ্ন সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, এই বিপুল সম্পত্তি বেনামেও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কাদের নামে সম্পত্তি রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে। সিবিআইয়ের নজরে সায়গল ঘনিষ্ঠরাও।