Saigal Hossain: জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতারের পর আজ আসানসোলে সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে সায়গলকে
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির যে সব অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে এবং তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে অসঙ্গতি মিলেছে।
আসানসোল: আজ আসানসোলে সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain)। সকালেই নিজাম প্যালেসের (Nizam Palace) দফতর থেকে বেরিয়ে সায়গলকে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআইয়ের টিম। গতকাল গরু পাচার মামলায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির যে সব অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে এবং তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে অসঙ্গতি মিলেছে। এ মাসের শুরুতেই পরপর দু’দিন সায়গল হোসেনের মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর (CBI) অফিসাররা। গরু পাচার মামলাতেই বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও (Anubrata Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এবং ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ এবং বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গল হোসেনকে। আজ তাঁকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে।
কে এই সায়গল হোসেন? কেন তিনি সিবিআইয়ের নজরে? গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী নিযুক্ত হওয়ার পর, আচমকাই সায়গলের অবস্থা পাল্টাতে শুরু করে। তাঁর প্রচুর বেনামি সম্পত্তিও রয়েছে বলে অভিযোগ।
গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে বেশ কিছুদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন সায়গল। এর আগে ৪ বার তাঁকে জেরা করেন সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এবং ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনের কলরেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু সম্পত্তি সায়গলের কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা সায়গলের বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তিও রয়েছে বলে অভিযোগ। একজন দেহরক্ষীর কী করে এতগুলো বাড়ি হতে পারে তা জানতে ডোমকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সকাল থেকে রাত অবধি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত সায়গল হোসেনের বাড়ি ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর বাবাও পুলিশের SI হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন সায়গল। কিন্তু অনুব্রতর রক্ষী নিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর অবস্থা বদলাতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: Howrah News: 'রাখে হরি মারে কে'! অলৌকিক ঘটনা বেলুড়ে