Anubrata Mondal: ১১ দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল
Cow Smuggling Case: সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। সঙ্গে অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে মুখোমুখি বসাতে চায় ইডি।
কলকাতা: ১১ দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এবার দিল্লিতে অনুব্রত-সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। সঙ্গে অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে মুখোমুখি বসাতে চায় ইডি। বয়ান দিয়েছেন এমন ১২ জনকে দিল্লিতে ডেকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসাতে চায় ইডি। বয়ানে থাকা অভিযোগ বারবার অস্বীকার করছেন অনুব্রত, তাই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা। একাধিক অভিযুক্ত বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে, আদালতে সওয়াল ইডি-র আইনজীবীর। বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন, অনুব্রতকে ছাড়লে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে, আশঙ্কা ইডি-র আইনজীবীর।
গরুপাচার মামলায় ED হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। এবার, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ২০ কোটি টাকা নগদ ব্য়াঙ্কে ডিপোজিটের দিকে নজর কেন্দ্রীয় সংস্থার। ED সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্য়দের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অ্য়াকাউন্টে, বিভিন্ন সময়ে মোট ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছিল। ২০১৬ থেকে ২০২০, এই ৫ বছরে বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে ২০ কোটি নগদ টাকা। ED সূত্রে দাবি, সুব্রত বিশ্বাস নামে প্রাক্তন এক ব্য়াঙ্ককর্মী বয়ান দিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত মণ্ডল, বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে টাকা পাঠাতেন। প্রায় ৬ কোটি টাকা নগদ পাঠিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হয়েছিল। ED সূত্রে খবর, এর মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইস মিল ও বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানির অ্যাকাউন্টও। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে বলে ED সূত্রে দাবি। এই ২০ কোটি নগদ টাকা কোথা থেকে এল? এগুলো কি গরুপাচারের টাকা? তারই উত্তর খুঁজছে ED।
গরু পাচার মামলায় গত বছর দিল্লিতে ED’র দফতরে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে । সুকন্যা ‘সমৃদ্ধি’র উৎস কী? তা জানতে-বুঝতে দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ED। সূত্রের দাবি, বোলপুরের ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা মণ্ডল। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে যে ঠিকানায় এই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটা হল ভোলে ব্যম রাইস মিলের। এটা ছাড়াও, সুকন্যার নামে আরও ১০টি জমির ডিড বা চুক্তিপত্র পাওয়া গেছে। সূত্রের দাবি, এই রাইস মিলের মালিক মণ্ডল পরিবার। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডলের কী করে এত সম্পত্তি হল? কোথা থেকে ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা জমালেন? কোথা থেকে এই টাকা এল? নেপথ্যে কী? গরু পাচারের টাকা? এই প্রশ্নগুলি তখনও সুকন্যাকে করা হয় বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সুকন্যা বরাবরই বলে এসেছেন, তিনি কিছুই জানেন না, বাবা জানেন। তাই এবার অনুব্রতর সামনে বসিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
আরও পড়ুন: WB Assembly: ফের শুভেন্দু বনাম তৃণমূল সংঘাত, তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়