Arpita Mukherjee : কারও সুপারিশে পরপর ২ বছর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর মুখ ছিলেন অর্পিতা ?
Naktala Udayan Sangha Puja : যে পুজো কমিটির অ্যাম্বাসাডর হন প্রসেনজিত্, ঋতুপর্ণা, নুসরত, অপরাজিতা আঢ্যর মতো টলিউড তারকারা... সেখানে কী করে সুযোগ পেলেন অর্পিতা ?
কলকাতা : পরপর দু’বছর নাকতলা (Naktala) উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর মুখ ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। যে পুজো কমিটির অ্যাম্বাসাডর হন প্রসেনজিত্, ঋতুপর্ণা, নুসরত, অপরাজিতা আঢ্যর মতো টলিউড তারকারা... সেখানে কী করে সুযোগ পেলেন অর্পিতা ? কারও সুপারিশ ছিল কি ? উঠছে প্রশ্ন।
তাল তাল টাকা। থরে থরে রাখা রয়েছে ২ হাজার ও পাঁচশো টাকার নোট। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের পর থেকেই শিরোনামে চলে এসেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর এ হেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ছবিই জ্বলজ্বল করছে কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর হোর্ডিংয়ে। আর অর্পিতার ছবির নীচেই জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
কীভাবে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর মুখ অর্পিতা ?
২০১৯’এ নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে দুর্গাপুজোর থিম ছিল জন্ম। পরের বছর ‘চুপের শব্দ বিরাট’। পরপর দু’বছরের পুজোর পোস্টার থেকে হোর্ডিং, সর্বত্রই জ্বলজ্বল করছেন ধৃত অর্পিতা মুখোপাধায়। ২০২০ সালে উদয়নের থিম ছিল চুপের শব্দ বিরাট... আর সেবছর ত্রিনয়নী রূপে অ্যাম্বাসাডর অর্পিতা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিশেষ কারোর নির্দেশেই অর্পিতাকে পুজোর মুখ করা হয়েছিল ? কিন্তু অর্পিতার সঙ্গে ক্লাবের কীভাবে যোগাযোগ হল ? কোন বছর ওঁকে অ্যাম্বাসাডর করা হল? এনিয়ে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের দুর্গাপুজোসেক্রেটারি অঞ্জন দাস বলেন, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, উনি সিনেমা করেন, সেই আন্দাজে যোগাযোগ হয়েছিল। ৪-৫টা হোর্ডিং-এ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন ; জামিনের আর্জি খারিজ, আপাতত একদিনের হেফাজত, কাল ফের আদালতে পেশ করা হবে অর্পিতাকে
কলকাতার অন্যতম বড় পুজো নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ। চোখ ধাধানো প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা...থেকে প্রতিমা। প্রতিবছর এই পুজো দেখতে ভিড় করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, এর আগে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের মুখ হয়েছেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে অপরাজিতা আঢ্য, নুসরত জাহানের মতো তারকারা। যে পুজোর অ্যাম্বাসাডর হন টলিউডের প্রথম শ্রেণির তারকারা। সেখানে, কেন অনামী এক অভিনেত্রীকে পুজোর মুখ করা হল ?
পুজোর পুরনো ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের স্টেজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঠিক পাশের সিটেই বসে অর্পিতা। তবে কি পার্থ চট্টোপাধায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই এই সুযোগ? পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনওভাবে রেকমেন্ড করেছিলেন ? এপ্রসঙ্গে অঞ্জন দাস বলেন, না.... না।
শুধু তাই নয়, ২০১৯-এর পুজোয় যেবার নাকতালর থিম ছিল জন্ম, সেবার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে অ্যাম্বাসাডর করার পর, ফের কেন পুজোর মুখ করা হল অর্পিতাকে? এনিয়ে অঞ্জন দাস জানান, ঋতুদির ছবিই বেশি হয়েছিল। ওঁর ওপরে ৪-৫টা হোর্ডিং করা হয়। প্রভাব পড়া উচিত নয়। কারণ, পুজোটা পুজোর জায়গায়। ক্লাব সংগঠনের সঙ্গে রাজনীতি গুলিয়ে দিলে হবে না।
কিন্তু ওঁকে কি কোনও টাকা দেওয়া হয়েছিল ? এপ্রসঙ্গে অঞ্জন দাস বলেন, সে তো আমি বলতে পারব না। আমার মনে হয় এমনিই জাস্ট।
প্রশ্ন এও উঠছে, কোনও টাকা ছাড়া কেনই বা পুজোর অ্যাম্বাসাডর হতে যাবেন কোনও অভিনেত্রী ? পুজো কমিটিই বা আর্থিক লেনদেন ছাড়া অপরিচিত কাউকে পুজোর মুখ করতে যাবে কেন ? অঞ্জন দাস বলেন, দেখুন পুজো যখন একটা মাইলেজে যায় না, তখন সবাই এটার অ্যাম্বাসাডর হতে চায়। সেই হিসেবেই করা হয়।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা কেউ অর্পিতাকে রেকমেন্ড করেনি। এবছর কাকে করা হবে, তা ঠিক হয়নি।