(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Saradha Scam Case: শুভেন্দুকে নিয়ে বিস্ফোরক সুদীপ্ত, সারদা উত্তাপে ফের তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি
Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ লঘু করে দেখতে নারাজ অনেকেই।
কলকাতা: সারদা মামলা (Saradha Scam Case) নিয়ে ফের তেতে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। তাতে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী ব্যক্তি, আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। দ্রুত আদালতকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তার প্রভাব পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। শুধু শুভেন্দুকে গ্রেফতার করলেই হবে না, সারদার টাকা কারা খেয়েছেন, তা খুঁজে বার করতে হবে, সেই টাকা বার করতে হবে বলে দাবি সিপিএম-এর।
সারদা নিয়ে ফের তেতে উঠছে বাংলার রাজনীতি
গত ২৪ জুন সারদাকর্তা (Saradha) সুদীপ্ত সেনের (Sudipto Sen) এক এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল। তাতে সারদাকর্তাকে বলতে শোনা যায়, শুভেন্দু তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করতেন। শুভেন্দুকে তিনি মোটা টাকা দিয়েছিলেন। প্রশ্নকারী এবং সারদাকর্তার যে কথোপকথন সামেন আসে, তা ছিল খানিকটা এমন—
প্রশ্ন : কাঁথিতে কার কথায় গিয়েছিলেন?
সুদীপ্ত সেন : শুভেন্দু অধিকারী।
প্রশ্ন : আর একবার বলুন, দ্বিতীয় চিঠির বয়ানে কার নাম ছিল?
সুদীপ্ত সেন : শুভেন্দু অধিকারী।
প্রশ্ন : কত টাকা নিয়েছিল? কী বলে টাকা নিত?
সুদীপ্ত সেন : একটা জমির ব্যাপার ছিল। আরেকটা স্যাংশনড প্ল্যানের ব্যাপার ছিল।
প্রশ্ন : ব্ল্যাকমেল করত?
সুদীপ্ত সেন : হ্যাঁ, ব্ল্যাকমেল করত।
আরও পড়ুন: Sarada Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ দাবি, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, শুনানি সোমবার
শুভেন্দু যদিও সারদাকর্তার দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "এ সব ফালতু বিষয়ে কিছু বলতে চাই না আমি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব বলাচ্ছেন।" কিন্তু শুভেন্দু সারদাকর্তার অভিযোগ খারিজ করতে চাইলেও, বিষয়টিকে হাতছাড়া করতে নারাজ তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "আমরা তো প্রথম থেকেই বলছিলাম, ওঁকে অ্যারেস্ট করা হোক।" সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "যাঁরা দুর্নীতি করল, দিব্যি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছন। এ ভাবে চলতে দেওয়া যায় না। টাকা কোথায় গেল, বার করতে হবে।" যদিও শুভেন্দু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার বলে দাবি রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।
তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ লঘু করে দেখতে নারাজ অনেকেই। কারণ গত ৩০জুন সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের একটি মামলার শুনানির জন্য প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে আসা হলে, সারদাকর্তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, কাঁথিতে... উনি দেখুন অনেক রকম ভাবে করেছেন... আমাদের ম্যানিপুলেট করেছেন অনেক ভাবে। কাঁথিতে একটি হাইরাইজার বিল্ডিং করার জন্য, উনি ৫০ লক্ষ টাকা কাঁথি পুরসভাকে ডিপোজিট করলেন, আমাদের ওই বিল্ডিংয়ের কাজকর্ম করালেন। যখন আমরা লেবার হাট কমপ্লিট করলাম, ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে লেবার হাট কমপ্লিট করেছিলাম। তার পর উনি আমাদের প্ল্যান দেননি।"
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ বিজেপি-র
তার আগেও কি শুভেন্দু টাকা নিয়েছিলেন, ইতিবাচক জবাব দেন সারদাকর্তা। তিনি বলেন, "হ্যাঁ, আগে টাকা নিয়েছিলেন। উনি কাঁথি পুরসভাতে একটা বিল্ডিং করে দিয়েছিল, তাতে ৯০ লক্ষ টাকা ওঁকে পুরসভা থেকে দিয়েছিল।" সোমবার হাইকোর্টে মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।