![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Asansol : ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস, বিভোক্ষ ইসিএলের নরসমুদা কোলিয়ারিতে
আচমকাই ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। একইসঙ্গে এর বিরোধিতা করেছেন অন্যান্য বিভিন্ন দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও।
![Asansol : ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস, বিভোক্ষ ইসিএলের নরসমুদা কোলিয়ারিতে Asansol News : agitation at ecl's Narsamuda Colliery due to transfer notice of 140 labours Asansol : ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস, বিভোক্ষ ইসিএলের নরসমুদা কোলিয়ারিতে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/08/21/133b2e72a4a0e33bdae41f8ac8d4e4ab_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল : ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস দিয়েছে আসানসোলের ই.সিএল-র নরসমুদা কোলিয়ারি। আর তার জেরেই বিক্ষোভ ছড়াল এলাকায়। শনিবার সকালেই কাজে যোগ দেওয়ার সময়ে নোটিস দেখতে পান কর্মীরা। আচমকাই ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। একইসঙ্গে এর বিরোধিতা করেছেন অন্যান্য বিভিন্ন দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও।
জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ১৭ জুন নাগাদ অবৈধ খনির জল ঢুকে পড়ে ইসিএল-এর নরসমুদা কোলিয়ারিতে। জলের কারণে ডুবে যায় বহু যন্ত্র। ফলে কাজও বন্ধ হয়ে যায় খনিতে। অন্যান্য বিভাগের কাজ চললেও ঘটনার দু’মাস পরেও খনির কাজ শুরু না হওয়ার জন্য উৎপাদনও শুরু হয়নি। শনিবার সকালে স্থানান্তরের নোটিস পেয়ে শ্রমিকরা খনি কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি বিক্ষোভে সামিল হয়ে খনি চত্বরেই স্লোগান দিতে থাকেন শ্রমিকরা।
এ প্রসঙ্গে আইএনটিইউসি নেতা অজয় মোশি বলছেন, ‘ই.সি.এল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে কোনও শ্রমিককে ট্রান্সফার করা হবে না। তারা এমনও জানিয়েছিল যে, খনির কাজও বন্ধ হবে না। তারপরেও হঠাৎ স্থানান্তরিত করার নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা দাবি করছি, কোনও শ্রমিককে স্থানান্তরিত করা চলবে না। এর পরিবর্তে এখনই খনিগর্ভে জমে থাকা জল বের করতে হবে।’
আইএনটিটিইউসি নেতা হরেরাম সিংহ আবার বলেছেন, ‘খনির জল দ্রুততার সঙ্গে বের করে খনিটিকে বাঁচানো প্রয়োজন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই কাজ করছে না। উল্টে ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিসও দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের তির যাঁদের দিকে, সেই নরসমুদা কোলিয়ারির সিনিয়র ম্যানেজার নন্দদুলাল সিংহ বলেন, 'খনিগর্ভ থেকে জল বের করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্রমিকদের সুরক্ষার স্বার্থেই ডিজিএমএস আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খনিটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, তার আগেই তারা খনি থেকে সমস্ত জল বের করে দিতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ১৪০ জন শ্রমিককে স্থানান্তরিত করার নোটিস বেরিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ওই নোটিসে কোথাও বলা হয়নি যে, অবিলম্বে তাঁদের চলে যেতে হবে।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)