Paschim Bardhaman:বৃহস্পতিবারের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে উড়ল অন্তত ৮ মাটির বাড়ির চাল, ক্ষুব্ধ অন্ডালের বাসিন্দারা
Roof Flies Away In Stormy Wind: বৃহস্পতিবারের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দুর্গাপুর শহর থেকে লাগোয়া খনি অঞ্চলের একাংশ।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বৃহস্পতিবারের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে (Storm) বিপর্যস্ত দুর্গাপুর শহর (Durgapur City) থেকে লাগোয়া খনি (Mine) অঞ্চলের একাংশ। গত কালের দুর্যোগে অন্ডালের উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজি সুভাষ ইনকলাইন পাড়ার প্রায় ৭-৮টি মাটির বাড়ির চাল উড়ে যায়। বাসিন্দাদের বেশিরভাগের আর্থিক অবস্থাই অত্যন্ত খারাপ। স্বাভাবিক ভাবেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা।
কী ছবি?
নেতাজি সুভাষ ইনকলাইন পাড়ায় প্রায় হাজারখানেক মানুষের বসবাস। বৃহস্পতিবারের তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে সেখানেরই ৭-৮টি মাটির বাড়ির চাল উড়ে যায়। এর পর থেকেই ক্ষোভের মেজাজ এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বক্তব্য়, ভোটের সময় সকলে ভোট চাইতে আসেন, প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু নির্বাচন মিটলে কেউ আর ঘুরেও তাকান না। বাড়ি মেলার হাজার প্রতিশ্রুতি মিলেছে, কিন্তু বিপদে পড়লে কেউ এক বারও পাশে দাঁড়ান না, ক্ষোভ তাঁদের। তৃণমূল পরিচালিত অন্ডালের উখরা পঞ্চায়েত প্রধানের অবশ্য যুক্তি, পঞ্চায়েত তার সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। অভিযোগ, ঢাক ঢোল পিটিয়ে যে দাবিই শাসকদল করুক না কেন, আক্ষরিক অর্থে সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ পঞ্চায়েত থেকে সরকার। রাজনৈতিক তরজার মাঝে দাঁড়িয়ে এখন সবথেকে বড় প্রশ্নের মুখে উখরার ঠাঁইহারা বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ।
নতুন নয়...
গত বছর মে মাসেই তুমুল ঝড়ে বাঁকুড়ার ছাতনার মেট্যাপাড়ার প্রায় কুড়িটি বাড়ির চাল উড়ে যায়। বাধ্য হয়ে খোলা আকারশের নিচে আশ্রয় নেন ঠাঁইহারা পরিবারের সদস্যরা। আকাশের নিচেই চলে রান্না-বান্না এবং বসবাস। ঘটনার কথা জানার পরই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় ছাতনা ব্লক প্রশাসন। সূত্রের খবর, সারাদিন প্রবল গরমের পর রাতের দিকে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের মেট্যাপাড়া এলাকায় মেঘ জমে আকাশ কালো হয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় প্রবল ঝড়। আচমকা ঝড়ে উড়ে যায় ছাতনার মেট্যাপাড়া এলাকার প্রায় কুড়িটি বাড়ির চাল। জানা যায়, চালগুলি অ্যাজবেস্টার্স, টিন ও টালির ছিল। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি বাংলা আবাশ যোজনারও ছিল। ঝড়ে বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। বাড়িতে ছিল শিশু এবং মহিলাও। তাঁদের নিয়েই খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় পরিবারগুলি। সেখানেই চলে বসবাস এবং রান্না-বান্না। রাত কাটতেই ওঠে চড়া রোদ। তার সঙ্গে ফের প্রবল গরম। তীব্র গরমের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে গাছের নিচে আশ্রয় নেয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি।
আরও পড়ুন:শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষভাবে উপকারী নারকেল, কীভাবে ব্য়বহার করবেন?