Baguiati News: আড়ালে থেকেই আত্মসমর্পণ, বাগুইআটি কাণ্ডে এবার প্রকাশ্যে কীর্তিমান কাউন্সিলর !
Police Chargesheet On Baguiati TMC Councilor : অবশেষে তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ৮জনের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট

কলকাতা: আড়ালে থেকেই আত্মসমর্পণ, এবার প্রকাশ্যে কীর্তিমান কাউন্সিলর! আত্মসমর্পণের পর জামিন নেওয়ার পরে অবশেষে পুলিশের চার্জশিট । তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ৮জনের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট । হত্যার চেষ্টা, তোলাবাজি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের। তোলা না দেওয়ায় বাগুইআটিতে প্রোমোটারকে মার।
গত ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে বাগুইআটিতে আক্রান্ত হন এই প্রোমোটার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী এখনও অধরা। ২১ দিন পরেও অধরা তিনি। প্রাণনাশের আশঙ্কা আক্রান্ত প্রোমোটার কিশোর হালদারের। গতবছর ডিসেম্বর মাসে দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে বাগুইআটির প্রোমোটার কিশোর হালদারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তিন সপ্তাহ পরেও অধরা ছিলেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তাঁর দুই সঙ্গী ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। এবার আড়ালে থেকেই আত্মসমর্পণ।
তোলা না দেওয়ায়, বাগুইআটির বাসিন্দা, পেশায় প্রোমোটার কিশোর হালদারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল, বিধাননগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি টাকা না দেওয়ায়, নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রোমোটার জোর করে কাজ শুরু করায়, তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরা এসে বেধড়ক মারধর করেছিল বলে অভিযোগ।
বাগুইআটির ওই আক্রান্ত প্রোমোটার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, 'প্রোমোটার তো কাউন্সিলরের বাড়ি গিয়ে এমনিতে টাকা দিয়ে আসে না। হয় সে প্রেসারে পড়ে। নতুবা তাঁকে থ্রেট করা হয়। টাকা দিয়ে আমি মার খেলাম। টাকা না দিলে তো আমার মৃতদেহটা মাটির তলায় ঢুকে যেত। কথা বলার মুখই থাকত না। আমার মনে হচ্ছে সব্যসাচীবাবু আড়াল করছেন সমরেশ চক্রবর্তীকে। আমি যে ২৩ লাখ টাকা দিলাম। তার কিছু ওর কাছেও যেতে পারে। সমরেশ চক্রবর্তীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ চাইলেই গ্রেফতার করতে পারে।'
প্রোমোটার অভিযোগ করেন, ৩ জানুয়ারি আদালত থেকে বেরিয়ে নিজের আইনজীবীর কাছে যাওয়ার সময়, পিছনে তাকিয়ে তিনি দেখেন কয়েকজন তাঁর ছবি তুলছে এবং ভিডিও করছে। এরপরেই অভিযুক্তরা শুরু করেছিল অকথ্য গালিগালাজ। আদালত চত্বরে কীভাবে কেউ এমন আচরণ করতে পারে তা ভেবেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ওই প্রোমোটার।
আরও পড়ুন, জামাইয়ের মারে প্রাণ হারালেন শ্বশুর ! আগরপাড়ায় মর্মান্তিক এই ঘটনার নেপথ্যে কী ?






















