Plastic Ban: ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, কতটা সচেতন কলকাতার বাজার?
Kolkata Market: শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার এক বাজারে যখন দেখা গেল সচেতনতার ছবি, তখন উত্তরের এক বাজার উদাসীন! সকাল ৮টা নাগাদ লেক মার্কেটে দেখা গেল, বিক্রেতারা বিধি মেনে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করছেন।
অনির্বাণ বিশ্বাস ও রুমা পাল, কলকাতা: ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক (Plastic) ব্যবহার করা যাবে না। গতকাল থেকেই চালু হয়েছে দেশজুড়ে এই বিধি। কতটা সচেতন কলকাতার বাজার (Kolkata Market)? শহরের উত্তর-দক্ষিণ ২টি বাজার ঘুরে ধরা পড়ল ভিন্ন ছবি।
নিষিদ্ধ ৭৫ মাইক্রনের নিচে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক: শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ ৭৫ মাইক্রনের নিচে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। পরিবেশ বাঁচাতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশেই এই ব্যবস্থা। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার এক বাজারে যখন দেখা গেল সচেতনতার ছবি, তখন উত্তরের এক বাজার উদাসীন! সকাল ৮টা নাগাদ লেক মার্কেটে দেখা গেল, বিক্রেতারা বিধি মেনে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করছেন। তবে তাঁদের অনুযোগ দাম নিয়ে। লেক মার্কেটের এক বিক্রেতা তপন সর্দারের দাবি, “এটা আগের প্লাস্টিকের থেকে দামি। আগে ১০০ গ্রামে ২০-২৫ পিস প্লাস্টিক হত। এখন মাত্র ১৩-১৪টি প্লাস্টিক পাচ্ছি। দামটা একটু কমানো হলে আমাদের ভাল হয়।’’লেক মার্কেটের এক মাছ বিক্রেতা শিল্পী মণ্ডল বলেন, “আমরা এখন কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করছি। কিছু করার নেই। তবে এখন কিনতে গেলে এগুলো এক কিলো আড়াইশো টাকা পড়ছে। আগে ১০০ টাকাতেই হয়ে যেত। তবে এটা ভাল পদক্ষেপ।’’
কতটা সচেতন কলকাতার বাজার? সকাল ৯টা নাগাদ উত্তরের মানিকতলা বাজারে দেখা গেল অন্য ছবি। সেখানে দিব্যি চলছে ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক। মানিকতলা বাজার কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বাবলু দাস বলেন, “দোকানদার, ক্রেতা, বিক্রেতা, সবাইকেই বলা হচ্ছে প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন না। পরিবর্তে ঠোঙা বা ব্যাগ ব্যবহার করতে। ক্রেতাদেরও বলা হচ্ছে ব্যাগ নিয়ে আসতে। যতদিন না সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততদিন এই পরিস্থিতিতে থাকতে হবে।’’ মানিকতলায় মাছের বাজারে দেখা গেল, কেউ কেউ কাগজের ঠোঙায় মাছ দিচ্ছেন। এবিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “একদিনে তো ম্যাজিক হবে না। আমরা সচেতনামূলক প্রচার করেছি। সমস্ত জায়গায় বলেছি। সচেতন করেছি।’’
এদিন সকাল ৮টায় লেক মার্কেট ও সকাল ৯টায় মানিকতলা বাজারে পুরসভার তরফে সচেতনতা প্রচার দেখা যায়নি। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের কথায়, প্রশাসনিক তত্পরতা আমরা দেখতে পাই না আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে। প্লাস্টিকের সাস্রয়কারী ববহারযোগ্য বিকল্প দেওয়াটা নির্দেশ জারি করার থেকেও জরুরি। কড়া হতে হবে প্রশাসনকে। শুধু ভোট বাক্সের দিকে তাকিয়ে নরম মনোভাব পোষম করলে হবে না। পরিবেশবিদ নব দত্ত বলেন, “প্রশাসনের তরফে একটা স্পষ্ট প্রচার থাকা দরকার ছিল। কিন্তু সেটা দেখতে পাইনি। বলা হচ্ছে, ৭৫ মাইক্রন। কিন্তু আসলে যে তা ৭৫ মাইক্রনের ওপরে, তা প্রমাণ হবে কীভাবে? এর ওপর কি নজরদারি রয়েছে? যেগুলো উত্পাদন হয়ে গেছে, বাজারে চলে এসেছে , সেগুলোর কী হবে?’’
রাজ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করে এমন ইউনিটের সংখ্যা ১ হাজার ২৬টি। বাজারে ৭৫ মাইক্রনের ওপর প্লাস্টিক ব্যাগের দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। কাপড়ের ব্যাগের মূল্য ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগের গেজ মাপার জন্য ব্যবহার করা হয় থিকনেস গেজ মিটার। কিন্তু এদিন শহরের ২টি বাজারে এই মিটার নিয়ে কোনও সরকারি আধিকারিকের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: West Midnapore: পশ্চিম মেদিনীপুরে শালবনিতে বজ্রপাতে মৃত্যু ২ জনের