Bangladesh-India: বাংলাদেশের অস্থিরতার মধ্যেই সারলেন বিয়ে, ভারতের পুত্রবধূ হয়ে এপারে এলেন সঞ্চিতা
Bangladesh India Wedding : অশান্তি-ঝামেলার মাঝেই বাংলাদেশ থেকে ভারতের পুত্রবধূ হয়ে এপারে এলেন সঞ্চিতা

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ওপার বাংলায় প্রায় রোজদিনই হিন্দু বিদ্বেষ চলছে। বঙ্গবন্ধুর বসত বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে ইউনূসের আমলে। ভুরিভুরি ভুয়ো আইডি সহ বাংলাদেশিরা এদেশে ধরা পড়ছেন। অবৈধভাবে এসেছে বিএসএফ জালে পাকড়াও হচ্ছেন। চলছে নিত্যদিন সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে ঝামেলা অশান্তি, হামলার ঘটনা। তারই মাঝে, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের অস্থিরতার মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতের পুত্রবধূ হয়ে এপারে এলেন সঞ্চিতা ঘোষ।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার বাসিন্দা অনির্বান মহাপাত্র ঢাকা শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে মেডিকেল পড়তে যান ২০১৬ সালে । তারপর ২০১৮ থেকে ওখানকার সহপাঠী মাগুরা জেলার সঞ্চিতা ঘোষের সঙ্গে সম্পর্ক হয় তাঁর । সেই সম্পর্কের খাতিরে যুবক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন তাই এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের মাগুরাতে গিয়ে সঞ্চিতাকে বিয়ে করেন তিনি। আজ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে টোপর মাথায় দিয়ে নব দম্পতি ভারতে প্রবেশ করেন । বিয়ে করে ভারতে প্রবেশ করে নববধূ খুব খুশি। কিন্তু এই অস্থিরতার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যরা আসতে না পারায় সঞ্চিতার মন একটু ভারাক্রান্ত। তবে আগামী দিনের সমস্ত সমস্যা মিটে গিয়ে দুই বাংলার মেলবন্ধন আগের মতই বজায় থাকুক এই চাহিদা রয়েছে নব দম্পতির।

আরও পড়ুন, কে নিয়ে এসেছিল দেশি পিস্তল ? মুখ খুললেন চণ্ডীতলা থানার আইসি,'বান্ধবীর সঙ্গে বচসার পর..' !
প্রসঙ্গত, কলকাতাকে বাংলাদেশের অঙ্গরাজ্য করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। বাংলা-সহ সারা দেশেই জঙ্গি ইস্যু ঘিরেও সতর্ক ভারত সরকার। একের পর এক ভুয়ো পার্সপোর্টকাণ্ড সামনে আসছে। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক অনুপ্রবেশকারী। তারই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে, কাঁটাতার দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছিল BGB এর বিরুদ্ধে। যদিও সীমান্তে এই উস্কানিতে থেমে নেই ভারত। পাল্টা চাপ এবার দিল্লির তরফেও। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইউনূস সরকার। পাল্টা, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে কড়া বার্তা দিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক।
সীমান্তে পাচার-সহ যেকোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ, দুষ্কৃতীদের পারাপার রুখতে বদ্ধপরিকর ভারত সরকার। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে সার্চ লাইট-সহ উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস ব্য়বহার করা হচ্ছে। তাই, সীমান্তে সব রকম অপরাধমূলক কাজের যবনিকা টানতে, যাবতীয় সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নেবে বাংলাদেশ সরকার বলেই আশাবাদী ভারত। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছিলেন, সীমান্তে চোরাচালান, অপরাধ দমনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অপরাধদমনে সীমান্ত নিরাপত্তায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকতে হবে। তাদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব থাকাও প্রয়োজন।






















