Bangladesh Unrest : বাংলাদেশে বিদ্বেষের বিষ, নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এপারেও, বিক্ষোভের মাঝে আটকে TMC সাংসদ সৌগত রায়
বাংলাদেশে বিদ্বেষের বিষ, নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এপারেও, বিক্ষোভের মাঝে আটকে TMC সাংসদ সৌগত রায়

কলকাতা: বাংলাদেশে বিদ্বেষের বিষ। ফের হিন্দু হত্যা। ওপারে নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এপারেও। কলকাতা থেকে জেলা, দিকে দিকে বিক্ষোভ। সোদপুর, শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, সিআইটি রোডে মশাল হাতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। এবং সেই বিক্ষোভের মাঝে পড়েই আটকে ছিলেন, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা হেঁটে গিয়ে অটোয় করে পানিহাটি পৌঁছন তিনি।
আরও পড়ুন, জীবিত ভোটার কীভাবে তালিকায় 'মৃত' হলেন তালিকায়? জানতে BLO-দের শোকজ নির্বাচন কমিশনের
এদিন সৌগত রায় বলেন, 'অবরোধ করেছে, করা উচিত হয়নি। বাংলাদেশে যে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, দীপুচাঁদ দাসকে ময়মনসিংহে মেরে ফেরেছে। আমি তার তীব্র নিন্দা করি। কিন্তু আমাদের তো এখানে পানিহাটি উৎসব শুরু হচ্ছে। আমি সেখানে যাচ্ছি, রাস্তা আটকেছে। আমি জোর করে না গিয়ে, নিজেই হেঁটে যাচ্ছি। ..কীকরব যেতে তো হবে। মারপিট করে তো যেতে পারি না।..টায়ার পোড়াচ্ছে, লোক খুব বেশি নেই।'
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া তাণ্ডব পুরোপুরি থামেনি শনিবারও। ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপুচাঁদ দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করে প্রকাশ্য়ে তাঁর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত দুষকৃতীরা। এবার সামনে এল দুষকৃতীদের নৃশংসতার আরও এক হাড় হিম করা নজির! BNP নেতা বেলাল হোসেনের বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে, আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় BNP নেতার ৭ বছরের মেয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিনজন।
শুক্রবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সংসকৃতিকেন্দ্র ছায়ানটে চলেছিল ধ্বংসযজ্ঞ। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমূল্য় বই, নজরুল ইসলাম থেকে লালন ফকিরের ছবি এবার আগুন লাগানো হল ঢাকার অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিস ধ্বংস করে, আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার মূদ্রিত সংস্করণ বের করেছে ইংরেজি দৈনিক ডেলি স্টার। তাদের হেডলাইন UNBOWED... অর্থাৎ ঝুঁকব না। শনিবার ময়মনসিংহে দীপুচাঁদ দাসকে পিটিয়ে খুন ও জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নৈরাজ্য়ের সময় পুলিশ কোথায় ছিল? খুন থেকে সংবাদপত্রের অফিসে তাণ্ডব তারা আটকাল না কেন? ইউনূস প্রশাসন কি আদৌ এসব আটকাতে চায়? এদিকে, শনিবার ঢাকার শাহবাগ চত্বরে হাসিনা বিরোধী ছাত্রনেতা ও ইনকিলাম মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে সমাধিস্থ করা হয়।






















