Changrabandha News: ২০ হাজার টাকা দিয়ে জাল আধার ও প্যান কার্ড, ভারতে ঢোকার সময় BSF-এর হাতে গ্রেফতার এনামুল
Bangladeshi couple Detained: জাল আধার ও প্যান কার্ড নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসে এক দম্পতিকে আটক করে ফের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিল বিএসফ। ঘটনাটি চ্যাংড়াবান্দা সীমান্তের।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, চ্যাংডাবান্দা: জাল আধার ও প্যান কার্ড নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। চ্যাংড়াবান্ধার সীমান্তে বিএসএফের (BSF) হাতে আটক হল এক দম্পতি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় জাল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের রংপুরের বাসিন্দা এনামুল হক সোহেল তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছিল চিকিৎসা করানোর জন্য। তাঁদের লাগেজ পরীক্ষা করার সময় সেখান থেকে পাওয়া যায় একটি ভারতীয় আধার কার্ড ও প্যান কার্ড। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করে বিএসএফ এবং ফের তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এনামুল হক সোহেল জানিয়েছে, তিনি ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশ থেকে নিজের চিকিৎসার সুবিধার জন্য এই জাল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড বানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তার ভিসাটি বাতিল করা হয়েছে।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে এসেছেন। এর মধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে বিএসএফ। তার মধ্যে জাল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড নিয়ে ভারতে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি দম্পতি। মঙ্গলবার চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে তারা। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৪.১০ মিনিটে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অভিযুক্তদের ব্যাগপত্র দেখার সময় নকল আধার এবং প্যান কার্ড পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দম্পতি জানিয়েছেন, চিকিৎসার খরচ কমানোর জন্য ওই কাজ করেছিল তারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযুক্ ওই দম্পতি বাংলাদেশের রংপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে ছিল একটি শিশু। অভিযুক্তদের নাম এনামুল হক সোহেল এবং সানজিদা জিনাত ইলাহি। এনামুলের নামে জাল আধার কার্ড এবং ভারতীয় প্যান কার্ড পাওয়া যায়। বিএসএফ এবং পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রে সই করিয়ে আবার তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। জাল আধার ও প্যান কার্ডের কথা স্বীকার করে নিয়ে সোহেল জানায়,সে এর আগেও ভারতের চিকিৎসার জন্য এসেছিল। তখনই নকল আধার ও প্যান কার্ড বানায়। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ২০২০ সালে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড বানিয়ে ছিল সে। চিকিৎসায় খরচ কমানোর জন্ইয এই কাজ করেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের রংপুর থেকে ভারতে এসেছিল ওই দম্পতি। বিষয়টি জানতে পারার পর কলকাতায় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। তাদের নির্দেশে ওই দম্পতিকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নকল পরিচয়পত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।