Infiltration From Bangladesh: বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার সময় গ্রেফতার তিন সন্দেহভাজন, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগ
Bangladeshi Infiltrator: ভারতে, বলা ভাল পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা। এবার এদের থেকে ওপার বাংলায় বেআইনি ভাবে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হলেন তিনজন।
সমীরণ পাল : চোরাপথে বাংলাদেশে ফেরার পথে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দু'জনকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রুনা খাতুন ও হাসিনা বেগম। তাঁরা বাংলাদেশের নড়াইলের বাসিন্দা। ধৃতরা ৬ মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে খবর।। এই দুই মহিলা কাজ করছিলেন মুম্বইয়ে। তবে চোরাপথে বাংলাদেশে ফেরার জন্য এসেছিলেন গাইঘাটার কাহনকিয়ায়। এরপরই গ্রেফতার হন তাঁরা। জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেকের এক বাচ্চাকে নিয়ে বাংলাদেশে বেআইনি ভাবে ফেরার চেষ্টা করছিলেন ধৃত দুই মহিলা। ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার আগে ভারত-বাংলাদেশের তারালি সীমান্ত থেকে আটক হয়েছে ১ জন অনুপ্রবেশকারী। অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাওয়ার আগে স্বরূপনগর থানার তালারি সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে এই ব্যক্তিকে। বিএসএফ প্রথম আটক করে। তারপর আটক অনুপ্রবেশকারীকে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে থাকত বাংলাদেশের নড়াইলের বাসিন্দা নাজির মোল্লা। ভিনরাজ্যে অনেকদিন ধরেই কাজ করেছে সে। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ।
কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে, ওই চোরাপথই বারবার ব্যবহার করছেন অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা হোক, কিংবা ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া, দুই ক্ষেত্রেই কাঁটাতারহীন সীমান্তবর্তী এলাকাই ব্যবহার করা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার মাত্র ৯৫ কিলোমিটারে রয়েছে কাঁটাতার। বাকি বিস্তীর্ণ অংশ উন্মুক্ত। সেই অঞ্চল দিয়েই মূলত গাইঘাটা, বাগদা, স্বরূপনগর থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটাই প্রথম নয়। বিগত কয়েকদিনে এইসব এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই গাইঘাটা থেকেই কিছুদিন আগে পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের কিংপিন মনোজ গুপ্তকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। বেহালার বাসিন্দা মনোজ গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটে সেজে আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে চাঁদপাড়া রেল স্টেশন চত্বর থেকেই এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। ধৃত মনোজকে জেরা করে আরেক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার নাম ধীরেন ঘোষ। এই ধীরেন আবার ১০ বছর ছিলেন ইতালিতে। একাধিক ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন তিনি। পাসপোর্টের সঙ্গে সঙ্গে জাল ভিসার ব্যবস্থাও করে দিতেন ধীরেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।