Rain Update: বাঁকুড়ায় বাড়ি ধসে মহিলার মৃত্যু, প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যয় বীরভূমেও
West Bengal News: গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ। বাঁকুড়া থেকে বীরভূম, জেলায় জেলায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জীবন।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় বাড়ি ধসে মহিলার মৃত্যু। নানুরে বাড়ি ধসে আহত ৪। জলমগ্ন বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বর। প্লাবিত লাভপুর, কীর্ণাহার।
বাড়ি ধসে মহিলার মৃত্যু: একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় বাড়ির একাংশ ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। মৃতের নাম জ্যোৎস্না বাগদী। রবিবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের হরিয়ালগাড়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি লাগোয়া রান্নাঘরের মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বছর ৫৪-র মহিলার। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে বাঁকুড়ায় দেওয়াল ধসে ২ জনের মৃত্যু হল।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে বীরভূমের নানুরে মাটির বাড়ি ধসে দুই ছেলেমেয়ে-সহ আহত হন দম্পতি। ভোররাতে মুরুন্দি গ্রামে দোতলা মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। দুই সন্তানকে নিয়ে দম্পতি ঘুমোচ্ছিলেন। সকলেই আহত হন। ১১ ও ১৪ বছরের দুই ছেলেমেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একজনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও আরেকজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। লাভপুরের ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কুয়ে নদীর জল ঢুকেছে কয়েকশো বিঘা জমিতে। ফসল নষ্টের আশঙ্কা। একাধিক রাস্তা ডুবে যাওয়ায় কীর্ণাহারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে কোপাই নদীর জল ঢুকেছে বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বরেও।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ। বাঁকুড়া থেকে বীরভূম, জেলায় জেলায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জীবন। এর আগে গত শনিবার নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে মাটির বাড়ি ধসে মৃত্যু হয় একজনের। আহত হন ৬ জন। কোতুলপুরের কোনারপুর গ্রামে গতকাল গভীর রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দোতলা মাটির বাড়ি। ঘুমন্ত অবস্থাতেই চাপা পড়ে যান গৃহকর্তা ৬৫ বছরের রবি সিংহ। আহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। দ্রুত তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: West Midnapore Flood: বিপদসীমার উপরে বইছে শিলাবতী, ভাঙল বাঁধ, আতঙ্কে বাসিন্দারা