Mid Day Meal: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ, বাঁকুড়ার স্কুলে তুলকালাম
Bankura News:মিড ডে মিল খাতে বরাদ্দ সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে।

বাঁকুড়া: বাস্তবে যত পড়ুয়া মিড ডে মিল খায়, তার চেয়ে সংখ্যা অনেক বেশি দেখিয়ে মিড ডে মিল খাতে বরাদ্দ সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ। তা নিয়ে তুলকালাম বাধল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে। অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মিড ডে মিল খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। যদিও টাকা তছরুপের অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।
মিড ডে মিল খাতে বরাদ্দ সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে। বেনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। বিক্ষোভকারী অভিভাবক অভিজিৎ মাজি বলেন, "এখানে মিড ডে মিলে দুর্নীতি হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক মহাশয়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, খাতা দেখতে চেয়েছিলাম। তখন উনি যে হিসাব আমাদের দেখিয়েছিলেন, তাতে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মতো দুর্নীতির হিসেব পেয়েছি।'' আরেক বিক্ষোভকারী অভিভাবক প্রশান্ত লায়েক বলেন, "স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়া সটুডেন্ট হচ্ছে ৩০০। সরকারকে হাজিরা দেখিয়েছেন ২৮০-২৯০, ২৫০। কিনতু আসলে খাচ্ছে ৫০, ৬০, ৭০, ৮০, ৯০, এরকম করে খেয়েছে। তার যে একটা অ্যামাউন্ট সরকার থেকে নিয়েছেন, সেই টাকাটা উনি অস্বীকার করছেন।''
বেশি পড়ুয়া দেখিয়ে মিড ডে মিল খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে নিলেও তছরুপের অভিযোগ মানতে চাননি প্রধান শিক্ষক প্রকাশচন্দ্র পণ্ডা। তাঁর দাবি, "তছরুপের কোনও অভিযোগ সত্য নয়। যেটা বাড়ানো হয়েছিল, বিভিন্ন খাতে খরচ করার জন্য বাড়ানো হয়েছিল। মিড ডে মিল বাবদ যে টাকা পাওয়া যায়, সেই টাকায় বাচ্চাদের খাওয়ানো যায় না। এই জন্য কিছুটা বাড়ানো হয়। সেটা বিভিন্ন খাতে কাজে লাগানো হয়েছে। যেমন সরস্বতী পুজোয় খিচুড়ি খাওয়ানো, ৫ জানুয়ারি (সকুলের প্রতিষ্ঠা দিবসে) খাওয়ানো, টিচার্স ডে-তে খাওয়ানো। নিয়ম নেই, কিন্তু আমাদের স্বার্থে করতে হয়।''
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের চাপে সকুলে ম্যানেজিং কমিটি তৈরি করা যায়নি। যদিও শাসক শিবিরের তরফে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত টাকার হিসেব না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিভাবকরা। গঙ্গাজলঘাটি দক্ষিণ সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাদেব মাইতি বলেন, "মিড ডে মিলের টাকা বাড়িয়ে কখনোই এগুলো করা যায় না। এগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কত পেয়েছি আর কত খরচ করেছি, সেটা যদি মিলে যায়, তাহলে ভাল, যদি না মেলে উনি আর্থিক তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।''






















