Bankura Accident: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর পর কয়েক জনকে চাপা, বাঁকুড়ায় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত ২
Road Accident: বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রসূন চক্রবর্তী, শালতোড়া: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর পর বেশ কয়েক জনকে ধাক্কা লরির। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু একজনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু আরও একজনের। সাত সকালে বাঁকুড়ার শালতোড়ায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল। দুর্ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষজন। রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রের দাবিতে সরব হন সকলে। (Bankura Accident)
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু একজনের, হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে শেষ দ্বিতীয় জন
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। শালতোড়া থেকে মধুকুণ্ডার দিকে ছুটছিল একটি খালি লরি। সেই সময় শালতোড়া থানার অন্তর্গত জহরবোনা গ্রামের কাছে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন লরির চালক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তিন জনকে ধাক্কা মারে লরিটি। লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তপন মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি। দ্বিতীয় জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। অবস্থা সঙ্কটজনক। (Road Accident)
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। শুকনো ডালপালা জড়ো করে এনে শালতোড়া-মধুকুণ্ডা রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রশাসন একেবারে উদাসীন বলে অভিযোগ তোলেন। অবিলম্বে গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে প্রশাসনের কাছে দাবিও জানান।
আরও পড়ুন: Dibyendu Adhikari: খাতায়কলমে এবার বিজেপি-তে শুভেন্দুর ভাই, দিল্লিতে অর্জুনের সঙ্গেই যোগদান?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যে লরি এদিন তিন জনকে চাপা দেয়, তার চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সেই কারণেই খালি লরির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ তাঁদের। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঘাতক ওই লরির চালকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ উত্তপ্ত ছিল এলাকা।
গতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ, অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের
পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভের খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে, অবরোধ তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। রাস্তা থেকে সরতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। গতি নিয়ন্ত্রণের লিখিত আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত অবরোধ উঠবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বহু মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেন। তাঁদের দাবি, এই ধরনের ঘটনা নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই এমন ঘটছে বলে দাবি তাঁদের।