Bardhaman News: বর্ধমানে CID-র জালে পোস্ট অফিসের কর্মী ! কেন তাঁকে গ্রেফতার করল তদন্তকারী সংস্থা ?
CID Arrested Post Office Worker In Bardhaman : বর্ধমানে, প্রতারণা ও সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে সিআইডির জালে পোস্ট অফিসের কর্মী !

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানে সিআইডির জালে পোস্ট অফিসের কর্মী ! প্রতারণা ও সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ধৃত পোস্ট অফিসের কর্মী বিদ্যুৎ শূরের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।মূলত সুরজিৎ পাল নামে জামালপুরের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২১ সালে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুরজিৎ পাল। টাকা জমা দেওয়ার সময় জামালপুর সাব পোস্টঅফিসে তখন ছিলেন এই অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন, শুধু নয়ডা নয়, কলকাতাতেও প্রতারণার জাল ! ধৃত বিভাস -সহ ৬ জনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর উপ-ডাকঘরের আমানতকারীদের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা কাণ্ডে এবার সিআইডির হাতে গ্রেফতার হল তৎকালীন উপ ডাকঘরের পোস্টমাস্টার বিদ্যুৎ শূর।রবিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানার বুলচন্দ্রপুরে তার বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ শূরকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সিআইডি অফিসারদের একটি দল রবিবার বিকালে বিদ্যুৎ শূরের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতার ভবানী ভবনে নিয়ে যায়।সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
জামালপুর উপ-ডাকঘরে সঞ্চয়ের টাকা গচ্ছিত রেখে প্রতারিত হওয়া পরিবাটি জামালপুর হাটতলা এলাকার বাসিন্দা। পাল পরিবারের বক্তব্য,তাঁদের পরিবারের সকলেই পরিশ্রম করে রোজগার করা অর্থ তারা জমিয়ে রেখেছিলেন। জমানো অর্থ জামালপুর সাব-পোস্ট অফিসে গচ্ছিত রাখার জন্য সুরজিৎ পাল এবং তাঁর বাবা,মা,দিদি ও জামাইবাবু আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলেন।
২০২১ সালে ১ বছরের ’ফিক্সড ডিপোজিট’ স্কিমে তারা নিজের নিজের অর্থ অ্যাকাউন্টে জমা করেন। তাঁদের সবার মিলিয়ে জমা করা টাকার পরিমাণ ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অভিযোগ জামালপুর উপ ডাকঘরের তৎকালীন পোস্টমাস্টার বিদ্যুৎ শূর ওই টাকা গ্রহণ করে নিয়ে শীল স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের সবার অ্যাকাউন্ট বই ইস্যু করে দিয়েছিলেন।
ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ ১ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সুরজিতের মা রাধারাণী দেবী।তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতা-সহ ভিন রাজ্যের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তখন টাকার খুব প্রয়োজন হয়ে পড়লে পাল পরিবারের সদস্যরা অগ্রিম ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়ায় জন্য জামালপুর সাব পোস্ট অফিসে যান। তখনই পোস্টমাস্টারের কথা শুনে তাঁদের মাথায় হাত পড়ে যায়। তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন।
এরপরে পরিবারের পক্ষ থেকে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিআইডি তদন্তে নেমে গত ২৯ শে জুলাই পোস্টাল এজেন্ট হৃদয় রঞ্জন মাইতিকে গ্রেফতার করে।রবিবার মাধবডিহি থানার বুলচন্দ্রপুর থেকে সিআইডি বিদ্যুৎ শূরকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর পরিবারের প্রতিক্রিয়া, 'আদালত ও সিআইডির ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।'






















