Rath Yatra 2024 : রথের দিনই পুজো কমিটির দখল নিয়ে বচসা, 'তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের মার' মৃত্যু
Durga Puja 2024 : অভিযোগ, এক ক্লাব সদস্যার স্বামীকে মারধর করেন তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : রথ মানে পুজোর ঢাকে কাঠি। উৎসবের সূচনা বাংলায়। কিন্তু উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে বদলে গেল ভয়াবহতায়। ব্যারাকপুরে পুজোর মিটিংয়ে বচসার পর মৃত্যু হল এই উদ্যোক্তার। স্থানীয় একটি ক্লাবের মহিলা পরিচালিত পুজোর দখল নিতে তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল।
অভিযোগ, ওডিসি ক্লাবের পুজো দখল করতে চাইছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী মুখোপাধ্যায়। রথযাত্রার দিন থেকে বহু পুজোরই আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। ব্যারাকপুরের ক্লাবেও তাই হয়েছিল। রবিবার ক্লাবের পুজো কমিটির মিটিংয় চলছিল। সেখানে গতবারের পুজোর খরচের হিসাব চাওয়া নিয়ে বচসা বাধে বলে দাবি।
কথা কাটাকাটি থেকে বিষয়টি হাহাহাতি , মারধরে পৌঁছায়। অভিযোগ, এক ক্লাব সদস্যার স্বামীকে মারধর করেন তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তৃণমূল কাউন্সিলরের মৌসুমী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, মিটিংয়ে ছিলেন না ওই ব্যক্তি। অসুস্থ হয়ে রিকশ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর । পুরো বিষয়টিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান। অন্যদিকে রবিবার রাতেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মৃতের দাদার কথা বলান বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী।
পুজোর বাকি এখনও প্রায় ৩ মাস। আর রথযাত্রা মানেই খাতায়কলমে মা-দুর্গার আগমন বার্তা এসে যাওয়া, কুমোরটুলিতে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাওয়া, আর কোমর বেঁধে বছরের সবথেকে আনন্দের ৫ টা দিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু ব্যারাকপুরে পুজোকে কেন্দ্র করে নামল শোকের ছায়া। এখন এই মৃত্যুর জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন :
পুরীর রথযাত্রায় পদপিষ্ট হওয়ার মত পরিস্থিতি, মৃত কমপক্ষে এক
অন্যদিকে, ভাঙড় থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে শনিবার শেষ-রাতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তিকে দোকানে বেঁধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম আজগর মোল্লা। স্থানীয়দের দাবি, নৈশ নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কয়েকদিন ধরে ভাঙড় বাজারে চুরির ঘটনা ঘটছিল। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে ধরে ফেলে একটি দোকানের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে মারে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে ভাঙড় থানা। এরপরও দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতের পরিবারই দেহ বাড়িতে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।