Barrackpore Shootout : 'ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডের দেড়দিন পর গ্রেফতার ১'
Barrackpore Shootout : ধৃত দুষ্কৃতীর নাম সানি, তার বাড়ি কামারহাটিতে, দাবি পুরপ্রধানের।
সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগনা : ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডের দেড়দিন পর গ্রেফতার ১, দাবি পুরসভা চেয়ারম্যানের। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম সানি, তার বাড়ি কামারহাটিতে, দাবি পুরপ্রধানের।
ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের ৩ দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সানির। সোনার দোকান রেইকি করেছিল সানি, খবর সূত্রের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় দুই মোটরবাইক। হাওড়া ব্রিজ থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ডানলপের দিকে গিয়েছিল ২ মোটরবাইক। ২ মোটরবাইকে ২ জন ছিলেন।
প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, এই ২ মোটরবাইকে চড়েই কি এসেছিল দুষ্কৃতীরা? তাহলে বাকিরা কি আলাদা করে দলে যোগ দিয়েছিল?
ডাকাতির অছিলায় পরিকল্পিত খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে হামলার ধরন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই কি ডাকাতির নাটক? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নেপথ্যে বহিরাগত ভাড়াটে খুনি? কোন পথে পালাল দুষ্কৃতীরা? এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, লুঠের উদ্দেশ্যেই হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাস্থল থেকে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের অফিস ও ডেপুটি কমিশনারের অফিসের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। ঘটনাস্থলের একেবারে কাছেই, ব্যারাকপুর স্টেশন। রহড়া থানার দূরত্বও মেরেকেটে ৩ কিলোমিটার। আর টিটাগড় থানার দূরত্ব ৩.৩ কিলোমিটার। এমন একটা এলাকা, যেখানে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। সেখানে কী করে এতবড় একটা ঘটনা ঘটিয়ে উধাও হল আততায়ীরা? এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও অজানা। এলাকায় একই নামে ৩টে সোনার দোকান!
তাহলে কেন এই দোকানেই হামলা? পুলিশের অনুমান, আগে থেকেই রেকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। যেভাবে সামান্য় সময়ের মধ্য়ে অপারেশন শেষ হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে নেপথ্যে কোনও পেশাদার গ্য়াং রয়েছে।
মাত্র এক মিনিট সাঁইত্রিশ সেকেন্ডের অপারেশন! এক লহমায় শেষ হয়ে যায় ২৭ বছরের একটা তরতাজা প্রাণ! বুধবার ব্য়ারাকপুরে ভরা বাজারের মধ্য়ে, ভরসন্ধেয় এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউরে উঠেছেন সবাই। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ তৃণমূল নেতা ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ।
আরও পড়ুন :
শুধু জামাইয়ের মঙ্গল নয়, জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের পিছনে ছিল শাশুড়িদের আরও এক মনস্কামনা