Paschim Medinipur:ভাঙচুর বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের তৃণমূল ইউনিয়নের অফিস, জখম ১২
Belda College Clash:বেলদা কলেজে ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল-পরিস্থিতি, ভাঙচুর বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের তৃণমূলের ইউনিয়ন অফিস। জখম দুই কলেজের ১২ জন পড়ুয়া।
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: বেলদা কলেজে ছাত্র (Belda College Clash) সংঘর্ষে উত্তাল-পরিস্থিতি, ভাঙচুর বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের তৃণমূলের ইউনিয়ন অফিস। জখম দুই কলেজের ১২ জন পড়ুয়া। তাঁদের বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খড়গপুর কলেজের পড়ুয়ারা বেলদা কলেজে এসেছিলেন। এদিন ছিল, ফার্স্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা। অভিযোগ, আজকের পরীক্ষা শেষ হলে বেলদা কলেজের ছাত্র সংসদের অফিসে খড়্গপুর কলেজের ছাত্ররা ঢুকে ভাঙচুর চালান। প্রসঙ্গত, মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা নিয়ে বেলদা কলেজ এবং খড়গপুর কলেজে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল। সে জন্য গত কাল পুলিশও আসে। সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়েছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু, আজ পরীক্ষার শেষে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। হাতাহাতি এবং মারামারিতে বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।। ঘটনাস্থলে আসে বেলদা থানার পুলিশ এবং বেলদার এসডিপিও রিপন বাউল। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খড়্গপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আসা একটি ছাত্রের অভিযোগ, 'আমরা পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। এখন ইউনিয়নের ছেলেরা রড নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মারধর করা হয়। সামনে পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গত কাল আমাদের ছেলেদের একটি ফোন চুরি হয়ে গিয়েছিল। সেই নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। আজ টিএমসি ইউনিয়নের ছেলেরাই মারধর করেছে। আমাদের ছেলেকে বাঁচাতে করতে গিয়ে আমরাই আক্রান্ত হয়েছি।'
প্রেক্ষাপট...
এ রাজ্যে শিক্ষাঙ্গনে সংঘর্ষের ঘটনা একেবারে অপরিচিত নয়। বিশেষত কলেজে অশান্তির অভিযোগ বার বার শোনা গিয়েছে। খোদ কলকাতার কলেজগুলিও ব্যতিক্রম নয়। গত অগাস্টে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ। জখম হন বেশ কয়েকজন, ঝরে রক্ত। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আক্রান্তরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাটুলি থানার পুলিশ। ক্যাম্পাসে মদ্যপানের অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম বাধে। এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই আবার প্রায় একই কারণে শিরোনামে এসেছিল কোচবিহারের শীতলকুচি কলেজ। সেখানেও টিএমসিপির ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্ত ঝরে। টিএমসিপি জেলা সভাপতির উদ্দেশে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে কলেজে ইউনিট খুলছেন টিএমসিপি জেলা সভাপতি, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপির অপর গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন:'দুর্নীতিতে যুক্ত BJP প্রধান..', কোচবিহারে আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝোলাল TMC