Bengal SIR Row : প্রতিদিন সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ করে বাড়ছে ! SIR-এ বাদ যাবে কত ভোটারের নাম?
Bengal SIR Row Update : SIR-এ বাদ যাবে কত ভোটারের নাম? কোথায় গিয়ে দাঁড়াল সংখ্যা ?

কলকাতা: SIR-এ বাদ যাবে কত ভোটারের নাম? ১ কোটিরও বেশি নাম বাদ যাবে, ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত শনিবার সন্ধে পর্যন্ত বাদের তালিকায় ছিলেন ৫৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৭ জন। প্রতিদিন এই সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ করে বাড়ছে। যদিও বাদের তালিকায় থাকা সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১ কোটির অনেক দূরে। আগামী বুধবার, ১১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে SIR-এর এনুমারেশন পর্ব। তালিকা থেকে বাদ কতজন যেতে পারেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন, SIR আবহে ফাঁকা হয়ে গেছে একটা এলাকা, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তালাবন্ধ একের পর এক ঝুপড়ি !
এখনও পর্যন্ত মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯, জানাল কমিশন। স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৩৩, ডাবল এন্ট্রি ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩২৯। পশ্চিমবঙ্গে খোঁজ মেলেনি ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ১২২ জন ভোটারের। অন্যান্য ৩৮ হাজার ৬১৮ জন, জানাল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত কোনও যোগ্য নাগরিক যেন বাদ না পড়েন, আর কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যেন ভোটার তালিকায় থেকে না যান। এটা নিশ্চিত করতেই SIR হচ্ছে। নির্ভুল, জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করাই SIR-এর লক্ষ্য। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ কি দিনে দিনে রাজনীতির খেলায় পরিণত হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ, শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ছাব্বিশ থেকে আঠাশে নভেম্বর, এই তিন দিনে রাতারাতি ১ কোটি ২৫ লক্ষ নাম এন্ট্রি করা হয়েছে। আর ফিরহাদ হাকিম বলছেন, 'ব্লক কে ব্লক উধাও হয়ে গেছে, ইলেকশন কমিশন এখন ম্যাজিশিয়ান হয়ে গেছে। বাড়ি সমেত ভ্যানিশ করে দিচ্ছে।'...নাম ঢোকানো, বা বাদ দেওয়া নিয়ে এই রাজনীতি কেন? প্রশ্ন উঠেছে।
দু-হাজার দুই সালে আমাদের দেশে সপ্তম এবং শেষ SIR হয়েছিল। SIR-এর প্রক্রিয়ায়, দুহাজার দু'সালের চৌঠা ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল এরাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা। তাতে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার কমেছিল উনসত্তর লক্ষ। পঞ্চাশ লক্ষ ভোটারকে তাঁদের ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি, হয় ভুয়ো নাম ছিল, নয়তো তাঁরা স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। আর উনিশ লক্ষ ভোটার মারা গেছিলেন। শেষপর্যন্ত, SIR-এর চূড়ান্ত পর্যায়ে ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল চার কোটি আটান্ন লক্ষ। সংশোধনের আগে যে সংখ্যাটা ছিল, চার কোটি বিরাশি লক্ষ। অর্থাৎ বাদ পড়েছিল চব্বিশ লক্ষ। সেটাকে স্বাগত জানিয়েছিল তৃণমূল। তাহলে আজ কেন এই পরিবর্তন? প্রশ্ন উঠেছে।






















