Bengal STF: জেলে বসেই জেলায় জেলায় সক্রিয় নেটওয়ার্ক JMB জঙ্গির ? উত্তর খুঁজতে খাগড়াগড়ের সাজাপ্রাপ্তকে হেফাজতে নিল বেঙ্গল STF
JMB Militant: খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত তারিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বন্দি বহরমপুর জেলে। এই জামাত উল মুজাহিদিন জঙ্গির সঙ্গে যোগ ছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের, অনুমান গোয়েন্দাদের।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত তারিকুলকে হেফাজতে পেল বেঙ্গল এসটিএফ। ৭ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে বহরমপুর আদালত। বাংলায় কোথায় কোথায় ছড়িয়ে আনসারুল্লা বাংলা টিম- এর জাল, সেটাই তারিকুলকে জেরা করে জানতে চায় বেঙ্গল এসটিএফ। এর আগে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর জেলেই তারিকুলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ধৃত আনসারুল্লা বাংলা টিম- এর জঙ্গি আব্বাসের। তারিকুলের থেকে জেলেই সন্ত্রাসের পাঠ নিয়েছিল আব্বাস, এমনটাই খবর বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে। এমনকি জেল থেকে বেরোনোর পরও তারিকুলের সঙ্গে দেখা করতে গেছিল আব্বাস আলি। তারিকুলকে হেফাজতে নিতে এসেছিল অসম এসটিএফ- ও। এখান থেকে অসমে নিয়ে গিয়ে আব্বাস আলির মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা ছিল অসম এসটিএফ- এর। আরও বেশ কয়েকজনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের। বেঙ্গল এসটিএফের ৭ দিনের হেফাজত শেষ হলে তারিকুলকে অসমে নিয়ে গিয়ে আব্বাস আলি এবং আরও কয়েকজনের মুখোমুখি জেরা করতে চায় অসম এসটিএফ, এমনটাই জানিয়েছে তারা।
বহরমপুর জেল থেকেই সন্ত্রাসের-জাল, মেন্টর জামাত উল মুজাহিদিন জঙ্গি তারিকুল ইসলাম
কিছুদিন আগে বেঙ্গল এসটিএফ নওদা থেকে গ্রেফতার করেছে সাজিবুল এবং মুস্তাকিন নামের দুই সন্দেহভাজনকে। এখন এই দুই ব্যক্তি বেঙ্গল এসটিএফের হেফাজতেই রয়েছে। এই দু'জনের মুখোমুখি তারিকুলকে বসিয়ে এবার জেরা করতে চান বেঙ্গল এসটিএফ- এর আধিকারিকরা। তারিকুলের সঙ্গে এই দুই ব্যক্তির যোগাযোগ ছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কী পর্যায়ে, কোন বিষয়ে তাদের যোগাযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখতেই এবার নওদা থেকে ধৃত সাজিবুল এবং মুস্তাকিনের মুখোমুখি তারিকুল ইসলামকে বসিয়ে জেরা করতে চাইছে বেঙ্গল এসটিএফ। বিগত ১০ বছর ধরে জেলবন্দি তারিকুল। শুধু তাই নয়, খাগড়াগড়ের মতো বিস্ফোরণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামী সে। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে হয়েছিল ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ২০১৫ সালে এই ঘটনায় ধরা পড়ে জামাত উল মুজাহিদিন জঙ্গি তারিকুল ইসলাম। সাজা হয় তার। এরপর থেকে বহরমপুর জেলেই বন্দি সে। কিন্তু জেলে বসেই কীভাবে বাংলার একাধিক জেলায় এই জঙ্গি তার নেটওয়ার্ক বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছিল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
বহরমপুর জেল থেকেই কি আনসারুল্লা বাংলা টিমকে বাংলার বিভিন্ন জেলায় 'অ্যাক্টিভ' করতে সক্রিয় ছিল জেএমবি জঙ্গি তারিকুল ইসলাম? কীভাবে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে জামাত উল মুজাহিদিনের যোগাযোগ রয়েছে? আদৌ রয়েছে কিনা এবং কোথায় কোথায় ছড়িয়ে নেটওয়ার্ক? এইসব কিছু জানতেই তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে এবং সাজিবুল ও মুস্তাকিনের সামনে বসিয়ে জেরা করতে চাইছেন বেঙ্গল এসটিএফ- এর আধিকারিকরা।
আরও পড়ূন- কলকাতায় শিশুর শরীরে কীভাবে মিলেছিল HMP ভাইরাসের হদিশ? কোন চিকিৎসায় সুস্থ হল সে?