HMP Virus Kolkata Case: কলকাতায় শিশুর শরীরে কীভাবে মিলেছিল HMP ভাইরাসের হদিশ? কোন চিকিৎসায় সুস্থ হল সে?
HMP Virus Kolkata Incident: কলকাতাতেও এক শিশুর শরীরে মিলেছে এইচএমপি ভাইরাস। তবে চিকিৎসার পর এখন সুস্থ রয়েছে সে। কীভাবে ধরা পড়ল সমস্যা? কীভাবেই হল চিকিৎসা? জানালেন শিশুটির চিকিৎসক সহেলি দাশগুপ্ত।
HMP Virus: ভারতে ইতিমধ্যেই চার শিশুর শরীরে পাওয়া গিয়েছে এইচএমপি ভাইরাসের হদিশ। তার মধ্যে একজন কলকাতার। মুম্বই থেকে বিমানে কলকাতা এসেছিল ওই শিশু। নভেম্বর মাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তারপরই বাচ্চাটিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান তার মা-বাবা। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সাধারণ চিকিৎসাই শুরু করা হয়। তারপর অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় এই শিশু এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন সুস্থ রয়েছে ওই শিশু। ফিরে গিয়েছে মুম্বইতেও।
কলকাতায় যে শিশু এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল বলে খবর, তার চিকিৎসা করেছেন ডক্টর সহেলি দাশগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, ৫ মাস ২ দিন বয়সে নভেম্বর নাগাদ ওই বাচ্চাটিকে তাঁর কাছে আনা হয়েছিল। মুম্বই থেকে বিমানে কলকাতায় এসেছিল বাচ্চাটি। জ্বর, বমি, পেট খারাপের সমস্যা দেখা দেয় বাচ্চাটির। প্রাথমিক ভাবে এইসব উপসর্গ দেখে সাধারণ চিকিৎসা শুরু হয়। এর ২ দিন পর থেকে হঠাৎই বাচ্চাটির শুরু হয় কাশির সমস্যা। সেই সঙ্গে দেখা দেয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। এরপর বাচ্চাটিকে পেডিয়াট্রিক ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ৬ থেকে ৭ দিন সেখানেই ছিল বাচ্চাটি। পরে স্থানান্তর করা হয় ওয়ার্ডে। ১০ থেকে ১২ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে বাচ্চাটি। এই শিশু যখন ভর্তি ছিল তখন লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই খোঁজ মেলে এইচএমপি ভাইরাসের। তবে এখন সুস্থ রয়েছে বাচ্চাটি, জানিয়েছেন ডক্টর ডাশগুপ্ত। ডিসেম্বর মাসে বাচ্চাটির একবার চেকআপও করেছেন তিনি। শিশু এখন সুস্থ রয়েছে।
এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্ত হলে কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে
এইচএমপি ভাইরাসের সঙ্গে অনেক মিল করোনার। উপসর্গও অনেকটা একই ধরনের। জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, পেট খারাপ হওয়া- মূলত এই ধরনের সমস্যাই দেখা যায়। বাড়াবাড়ি হয়েছে বোঝা যাবে যদি তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে।
এইচএমপি ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
শিশু এবং প্রবীণদের মধ্যেই এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়াও যাঁদের ইমিউনিটি কম, কিডনির সমস্যা রয়েছে, অ্যাজমা অথবা সিওপিডি রোগী, ক্যান্সার আক্রান্ত- এঁদের ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হতে পারে এইচএমপি ভাইরাস। তবে আতঙ্ক কিংবা উদ্বেগের কারণ নেই। মাস্ক পরা, জমায়েত এড়িয়ে চলা, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার মতো সাধারণ নিয়ম-কানুন একটু মেনে চলতে পারলেই বিপদ এড়ানো সম্ভব বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- কতটা আতঙ্কের HMP ভাইরাস? বিপদ এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )