Anubrata Mondal: ফোঁটা দিতে এলেন না কেউ কেষ্টকে, দুরন্ত মেনুতে ভাইফোঁটার আনন্দ আসানসোল জেলে
Bhaifonta In Jail:তিনি জেলবন্দি। ভাইফোঁটা এবার সেখানেই কাটল তৃণমূলের দাপুটে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। খানিকটা একাকীই যেন। তবে সার্বিক ভাবে আসানসোল জেলের ভিতরের ছবিটা ছিল অন্যরকম।
কৌশিক গাঁতাইত,পশ্চিম বর্ধমান: তিনি জেলবন্দি (jail custody)। ভাইফোঁটা (bhaifonta) এবার সেখানেই কাটল তৃণমূলের (TMC) দাপুটে বীরভূম (birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal)। খানিকটা একাকীই যেন। তবে সার্বিক ভাবে আসানসোল জেলের (asansol correctional centre) ভিতরের ছবিটা ছিল অন্যরকম। ভাইফোঁটার আনন্দ, সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া কোনও কিছুরই অভাব হয়নি এদিন।
কী হল ভাইফোঁটায়?
বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে অনেকেরই বোন আর্জি জানিয়েছিলেন, ভাইদের ফোঁটা দিতে চান। এবার সেই আর্জি ফিরিয়ে দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। চিত্তরঞ্জন থেকে জামুড়িয়া, বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন মহিলাকে দেখা গেল ভাইদের ফোঁটা দিতে এসেছেন। সঙ্গে এনেছে নমুখরোচক খাবারও। পাশাপাশি আজ জেলের দুপুরের খাবারের মেনুও ছিল তাক লাগানোর মতো। সূত্রের খবর, আজ আসানসোল জেলের দুপুরের খাবারে ছিল ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন এবং মিষ্টি। পেটপুরে সকলে খাবার খেয়েছেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের মন ভাল নেই। ছয় ভাইবোনের মধ্যে অনুব্রত মেজো। প্রত্যেক বার বেশ জাঁকজমক করেই তাঁর বাড়িতে ভাইফোঁটা হয়। আজ ছবিটা বদলেছে । কেউ তাঁকে ফোঁটা দিতে আসেনি। এমনিক জেলের কোনও মহিলা কয়েদিও যে তাঁকে ফোঁটা দিয়েছেন, সে খবরও নেই। সব মিলিয়ে ভাই-বোনের এই আনন্দোৎসব বিষণ্ণই কেটেছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির।
জেলে কেন অনুব্রত?
গত অগাস্টে গরুপাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁকে ১০ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোলের CBI আদালতের বিচারক। এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে দশবার তলব করেছিল CBI। তার মধ্যে ন’বারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর আর দেরি করতে রাজি ছিলেন না CBI। তারপরই অনুব্রতর গড় থেকে তাঁকে নাটকীয় গ্রেফতারি করা হয়। তারপর থেকেই খাঁ খাঁ করছে বীরভূমের বাড়িটা। যদিও সেপ্টেম্বরে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বের করে আনতে হবে।' দলনেত্রীর ওই মন্তব্যের পর অনুব্রতর গলাতেও ঝরে পড়েছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। মমতা বলেছিলেন, ' প্রতিটা নির্বাচনে ওকে ঘরবন্দি করে দেয়। ভাবছেন জেলে বন্দি রেখে লোকসভা সিট দু’টো দখল করবেন। সে গুড়ে বালি!' এর পর অনুব্রতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ' দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ। ' কিন্তু কদিন আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় জানা গিয়েছিল, ২ মাসে ৯ কেজি ওজন কমেছে তাঁর। দৃশ্যতই কাহিল দেখাচ্ছিল তাঁকে, বলেন অনেকে।
আরও পড়ুন:প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, বিশ্বকাপে ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচটি কোথায়, কখন, কীভাবে দেখবেন?