'ধোঁয়ায় দম আটকে আসছিল, আমাকে ধরে এমন মারল', শব্দবাজির প্রতিবাদে ভবানীপুরে আক্রান্ত প্রৌঢ়া!
আক্রান্ত মহিলার কথায়, 'হঠাৎ দেখছি ধোঁয়ায় আমার দম আটকে আসছে। বলতে গেছি... আমাকে ধরে এমন মারল!'

কলকাতা: শব্দবাজির প্রতিবাদ করে ভবানীপুরে আক্রান্ত প্রৌঢ়া ও তাঁর পঞ্চাশোর্ধ ভাই। মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের একাংশের বিরুদ্ধে। প্রথমে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও সাড়া দেয়নি পুলিশ, দাবি আক্রান্তদের। অবশেষে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। হামলার ঘটনায় এখনও গ্রেফতার নয় কেউ।
আক্রান্ত মহিলার কথায়, 'হঠাৎ দেখছি ধোঁয়ায় আমার দম আটকে আসছে। বলতে গেছি... আমাকে ধরে এমন মারল!' আক্রান্ত মহিলার ভাই বলেন, 'উনি হার্টফেল করে মারা যেতে পারেন। তা সত্ত্বেও বড় বড় বোমা ওপর থেকে মেরে ফাটাচ্ছে।'
আইন আছে। পুলিশ আছে। কিন্তু, তাতে থোরাই কেয়ার। কালীপুজো এবং তারপরও, বিভিন্ন জায়গায় পিলে চমকানো শব্দে দেদার ফেটেছে বাজি। তেমনই অবস্থায় থাকতে না পেরে, প্রতিবাদ করেছিলেন ভবানীপুরে বাসিন্দা এই প্রৌঢ়া ও তাঁর ভাই।কিনতু, তারপর তাঁদের যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তা বলতে গিয়েই এখনও শিউড়ে উঠছেন তাঁরা।
অভিযোগ পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি শ্লীলতাহানিও করা হয়। বাধা দিতে গেলে মহিলার ভাইকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্তদের দাবি, হামলার পর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে সাড়া দেয়নি পুলিশ। বুধবার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
আক্রান্ত মহিলা এও বলেন, 'থানার থেকে বলছে, দেখছেন না আগুন লেগে গেছে, GD এখন কী করে নেব? বলেছি একটা মিনি GD তো নিন, মিনি ডায়েরি তো নিন। দাঁড়ান দেখছি দেখছি করে উনি আবার বাইরে গেল অফিসার। আবার আসল, এসে তারপর লিখল। শরীর ভাল না, দু'বার হার্ট ব্লক হয়েছে। আমার ভয় করে।'
আক্রান্ত মহিলার ভাই বলেন, 'পুলিশের ভূমিকা নীরব। আমি জানি না কেন নীরব। নিশ্চয়ই কোনও চাপের মধ্যে রয়েছেন। এত বড় ঘটনা ঘটল, সেটায় স্টেপ নেওয়া অনেক আগে উচিত। অভিযুক্তরা রীতিমতো ঘুরছে।'
খাস কলকাতার ভবানীপুরের মতো এলাকায় প্রৌঢ়-প্রৌঢ়ার ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'বাজি নিয়ে গোলমাল নতুন কিছু বিষয় নয়। তবে পরিমাণ অনেক কমেছে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।'
এই ঘটনায় এখনও অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আক্রান্তরা যে অভিযোগ তুলেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।






















