(Source: Poll of Polls)
Birbhum News: প্রবল বৃষ্টিতে দ্বারকার জলে ডুবল তারাপীঠ মহাশ্মশান
Weather Update:বৃষ্টির দাপটে ফুলে ফেঁপে উঠেছে জেলার নদীগুলি। তার জেরেই নানা জায়গায় ঢুকে পড়েছে জল।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: নিম্নচাপ আর মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় বৃষ্টিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গ। এর মধ্যে বীরভূমের অবস্থা এখন তথৈবচ। জেলার নানা প্রান্তে বৃষ্টির জল জমে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির দাপটে ফুলে ফেঁপে উঠেছে জেলার নদীগুলি। তার জেরেই নানা জায়গায় ঢুকে পড়েছে জল।
বীরভূমের তারাপীঠে মহাশ্মশান ডুবে গিয়েছে দ্বারকা নদীর জলে। ভারী বৃষ্টির কারণে সোমবার সকাল থেকে দ্বারকা নদীর জল বাড়তে শুরু করে। এর পরেই শ্মশানে জল ঢুকে যায়। কাঠ দিয়ে যেখানে মৃতদেহ পোড়ানো হয় তা বন্ধ রয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু আছে। তারাপীঠ থেকে আটলা যাওয়ার রাস্তায় দ্বারকা নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তা ডুবে যেতেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে তিলপাড়া জলাধার থেকে সাড়ে সাত হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল। বক্রেশ্বর নদীর জল বাড়তেই ডুবে গেল বোলপুরে আমোদপুর রাস্তা। যান চলাচল বন্ধ। তিলপাড়া জলাধার থেকে সাড়ে সাত হাজার কিউসেক জল ছাড়া হওয়ায় এর ফলে ময়ূরেশ্বর নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই ভাবে লাগাতার বৃষ্টি হলে একাধিক এলাকা জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বক্রেশ্বর নদীর জল বাড়তেই ডুবে গেল বোলপুরে আমোদপুর রাস্তা। যান চলাচল বন্ধ।
অন্যদিকে কংকালীতলায় কংকালী মায়ের গর্ভগৃহে কোপাই নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। মন্দিরে পুজো বন্ধ। অস্থায়ী ভাবে শিব মন্দিরের ভিতরে পুজো চলছে। পূর্নার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর জলমগ্ন।
লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালে মূল গেটে এক হাঁটু জল জমে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে জলের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে রোগী থেকে রোগীর পরিবারে লোকজনদের। নিকাশি সমস্যার জন্য জল জমছে বলে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ:
নিম্নচাপ আর মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় দুর্যোগ অব্যাহত। সকালে ঝড়ের দাপট আরও বেড়েছে। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি, ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। নদী ও সমুদ্র উত্তাল থাকায় আজও মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর মধ্যেই আগামীকাল ষাঁড়াষাঁড়ির কটাল। জলস্তর বাড়লে সুন্দরবনের দুর্বল মাটির বাঁধগুলি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। কোথাও কোথাও ইতিমধ্যেই বাঁধে ধস নেমেছে, ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: বৈঠকের জন্য কোন ৩ শর্ত দিল ডাক্তাররা? একমাত্র কোন শর্ত মানল রাজ্য?