Kirnahar OC Controversy: বিবাদ টাকা চাওয়ার অভিযোগ, সরানো হল কীর্ণাহার থানার OC-কে
Birbhum News: বাড়ি নিয়ে বিবাদে কীর্ণাহার থানার OC-র বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে
কলকাতা: ঝামেলা মেটাতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, এবার সরানো হল বিতর্কিত OC-কে (Kirnahar OC Controversy)। কীর্ণাহার থানার OC আসরাফুল শেখকে সরানো হল। SDPO বোলপুরের রিপোর্টের পরেই পদক্ষেপ নিল জেলা পুলিশ। তাঁর কীর্ণাহার থানার নতুন OC জয়ন্ত দাস।
ঘটনা কী?
বাড়ি তৈরি করা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামলা। আর এই প্রেক্ষিতেই টাকা চাওয়া এবং টাকা নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে কীর্ণাহার থানার ওসির বিরুদ্ধে। বাড়ির মালিকের দাবি, দোতলা তৈরি করা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন থানার OC। টাকা দিতে না পারায় তাঁকে ধরে মারধর এবং থানায় আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। বাধ্য় হয়ে দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। অবশেষে 'দিদিকে বলো'তে অভিযোগ করায় মেলে টাকা ফেরতের আশ্বাস। এই অভিযোগ সামনে আসার দু'দিনের মাথায়, ফের বাড়ি তৈরি নিয়ে বিবাদের প্রেক্ষিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে কীর্ণাহার থানার OC শেখ আশরাফুলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তোলেন কীর্ণাহার থানার জয়ন্তিপুর কলোনির বাসিন্দা ছবি দাস। বোলপুরের SDPO-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারীরা। এরপর সিউড়িতে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে OC-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় দুই পরিবার।
ঘটনায় তৈরি হয় বিতর্ক। এবার এই ঘটনায় বিতর্কিত OC- কে সরানো হল। অভিযোগকারী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছিলেন, "আমি দোতলা বড়ি করতে যাই। আমার প্রতিবেশীর বাধা দেয়। কোর্টে যাই। মিটেও যাই। কিন্তু তারপর পুলিশ ডাকে। ডেকে বলে কীর্ণাহার থানার ওসি বলে ঘর করবি কী করে। এক লক্ষ টাকা দে। ঘর কর। ৫০ হাজার টাকার কথা বলে। সেদিন ছেড়ে দেয়। আমাকে একদিন তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ৫০ হাজার চায়, না দিতে পারায় লকাপে রাখে। আমি ২০ হাজার টাকায় রাজি হই।'' আরেক অভিযোগকারী ছবি দাস বলেন, "আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে, জোর করে। ৫০০০ চায়, ২০০০ টাকা নিয়েছে। আমি আতঙ্কে আছি আবার তুলে নিয়ে যেতে পারে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2025: আর নয় অফলাইন, এবার অনলাইনে ফর্ম পূরণ মাধ্যমিকের, কবে থেকে শুরু?