Rampurhat Fire: দরজা ভেঙে ঢুকে প্রথমে মারধর, তার পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়, সিলমোহর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের
Rampurhat Fire: বাড়ির সদস্যরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। দু’টি পৃথক ঘরে নিজেদের ভিতর থেকে বন্ধ করে নেন। সেখানে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন তাঁরা। কান্নাকাটিও করছিলেন। দরজা ভেঙে তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল।
সন্দীপ সরকার, বীরভূম: জীবন্ত অবস্থায় সকলকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে গোড়া থেকেই অভিযোগ করছিলেন স্থানীয় সকলে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এ বার তাতেই সিলমোহর পড়ল। রামপুরহাট (Rampurhat Fire) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরফে পুলিশের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা Post Mortem Report) দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জীবন্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে মারা হয়েছে আট জনকে। আগুন লাগানোর আগে সকলকে আঘাত করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
নিহতদের পরিবার-পরিজনরা অবশ্য শুরু থেকেই জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলছিলেন। তদন্তে নেমে তেমন আঁচ পেয়েছিল পুলিশও। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি বাড়িতেই আট জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির সামনে এবং পিছনের কোলাপসিবল গেট দু’টি ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বাড়ির পিছন দিকে একটি সরু লোহার গেট ছিল। সেটি ভেঙেই বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: থমথমে বগটুই, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বসল সিসি ক্যামেরা
দরজা ভেঙে ঢুকে প্রাণ সংহার
এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে যে তথ্য পৌঁছেছে, সেই অনুযায়ী, বাড়ির সদস্যরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। দু’টি পৃথক ঘরে নিজেদের ভিতর থেকে বন্ধ করে নেন। সেখানে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন তাঁরা। কান্নাকাটিও করছিলেন। সেই অবস্থাতেই দরজা ভেঙে তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল। প্রথমে ব্যাপক মারধর করে সকলকে। তার পর পেট্রল জাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় সকলকে।
ওই লোহার গেট এবং ঘরের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেগুলি পরীক্ষা করে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরা। তাতেই জীবন্ত পুড়িয়ে মারার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বজন হারানো মিহিলাল শেখও জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের প্রথমে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তার পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।
রামপুরহাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, এ দিনই রামপুর হাট পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিপ্যাড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সার্কিট হাউসে পৌঁছে প্রথমে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বগটুই গ্রাম। কিন্তু সার্কিট হাউসে না গিয়ে সরাসরি বগটুই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন। কথা বলবেন স্থানীয়দের সঙ্গে। তার পর যাবেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।