Birbhum News: পঞ্চায়েতের আগে ফের ভাঙন, দল ছাড়লেন তৃণমূলের যুব নেতা
দল ছাড়লেন রামপুরহাট শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সঙ্কেত সেনগুপ্ত। পারিবারিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদ ও দল ছাড়লেন সঙ্কেত সেনগুপ্ত।

রামপুরহাট: পঞ্চায়েতের আগে রামপুরহাটে তৃণমূল ছাড়লেন আরও এক নেতা। রামপুরহাটে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির পর দল ছাড়লেন যুব নেতা। দল ছাড়লেন রামপুরহাট শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সঙ্কেত সেনগুপ্ত। পারিবারিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদ ও দল ছাড়লেন সঙ্কেত সেনগুপ্ত।
এর আগেও একাধিক জায়গায় তৃণমূল ছাড়তে দেখা গিয়েছে একাধিক কর্মীকে। সম্প্রতি কোচবিহারেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন প্রায় ৫০০ জন। তৃণমূলের (TMC) শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও (South 24 Parganas) তৃণমূলে ভাঙন। মগরাহাটে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন প্রাক্তন ব্লক সাধারণ সম্পাদক-সহ ৫০০ জন কর্মী সমর্থক। প্রথম দিন থেকে দলে থাকলেও, গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ। যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ! সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardidhi By Election) প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী (Adhir Choudhury)।
তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক অব্যাহত
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক অব্যাহত। কোচবিহার, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা। মঙ্গলবার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, মগরাহাটের কলসে শাসকদল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন মগরাহাট পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি এবং মগরাহাটে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সাধারণ সম্পাদক খয়রুল হক লস্কর-সহ ৫০০-রও বেশি কর্মী সমর্থক। সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে এহেন দলবদল কেন ? দলবদলকারী তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, দলে আদি নেতাদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। নাম না করে খয়রুল হক লস্করের নিশানায় মগরাহাট পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক নমিতা সাহা। কংগ্রেসে যোগদানকারী তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সাধারণ সম্পাদক খয়রুল হক লস্কর বলেছেন, 'একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন এক নেত্রী। প্রথম থেকে ছিলাম। কোনও গুরুত্ব দিত না। উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়বি। একটা সময় কংগ্রেস করতাম। আবার কংগ্রেসে ফিরে এলাম।'
কোনও প্রভাব পড়বে না, দাবি তৃণমূল বিধায়কের। মগরাহাট পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নমিতা সাহা বলেছেন, 'উনি আগে ছিলেন। ওনার বিরুদ্ধে দুরনীতির অভিযোগ আছে। বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করেননি। দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।' এদিকে, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি বাপি হালদার বলেছেন, 'দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। টিকিট পাবে না, জেনে দলত্যাগ করেছে। ওখানকার সব আসনেই আমরা বিপুল ভোটে জিতব।'























